পাবনায় কালবৈশাখীতে ভেঙে গেছে ঈদগাহের বহু প্যান্ডেল, মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়

পাবনায় কালবৈশাখীতে ভেঙে গেছে ঈদগাহের বহু প্যান্ডেল, মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়

পাবনায় কালবৈশাখীতে ভেঙে গেছে ঈদগাহের বহু প্যান্ডেল, মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়

ঈদের দিন সারা দেশে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দুই বছর একরকম ‘ঘরবন্দি’ অবস্থায় কেটেছে ঈদ। ঈদের নামাজ কিংবা ঘোরাঘুরি দূরে থাক, এক বাড়িতে থেকেও একসঙ্গে ঈদ উপযাপন করতে পারেননি অনেকেই।

দুই বছর পর করোনার বিধিমুক্ত ঈদ উৎসব ফিরেছে; এরই মধ্যে ঈদের নামাজও শেষ হয়েছে। তবে ঈদ উদযাপনে বিঘœ ঘটানো শুরু করেছে কালবৈশাখী।

টানা বৃষ্টির কারণে পাবনায় ঈদ মাঠের পরিবর্তে ঈদুল ফিতরের নামাজ এলাকার মসজিদগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনায় ঈদের প্রধান জামায়াত আরিফপুর গোরস্থান ঈদগাহে হওয়ার কথা ছিল। কালবৈশাখী  ঝড়ে প্যান্ডেল  ভেঙে যাওয়ায় ঈদগাহ ময়দানে জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়নি।

শুধু আরিফপুর ঈদগাহ ময়দান নয় পাবনা শহরের অধিকাংশ মাঠেই ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়নি। মহামারির ধকল কাটিয়ে দু’বছর পর শহরের ঈদগাহগুলোতে ঈদের নামাজ পড়ার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। বিপুল অর্থ ব্যয় করে ঈদগাহগুলো সাজানো হয়েছিল; কিন্তু ঝড়ে সব ভেঙে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয় জমকাল কালো মেঘ। তার কিছুক্ষুণ পরই শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত। ঘণ্টা খানেক ধরে চলে দমকা হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি। এরপর সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ঈদগাহগুলো নামাজ আদায়ের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।

পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের নামাজ। আরিফপুর ঈদগাহের পরিবর্তে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় আরিফপুর গোরস্তান মসজিদে।পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এবং পাবনা পৌর মেয়র মোঃ শরিফ উদ্দিন প্রধান কেষ্টপুর জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া চাঁপাবিবি জামে মসজিদ, আলিয়া মাদ্রাসা মসজিদ, এডওয়ার্ড কলেজ মসজিদ, হাসপাতাল মসজিদ, জেলা স্কুল মসজিদ, পুলিশ পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিটি মসজিদে নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।

এদিকে নামাজ পর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে গোলম ফারুক প্রিন্স এমপি জেলা কারাগার ও পাবনা মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় জেল সুপার মোঃ শাহ আলম ও মানসিক হাসপাতালের কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।