কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা (৩০) প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দিলু (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৪ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

নিহত নাজমুল হুদা উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দাইল কামারাটিয়া গ্রামের মৃত মজনু খানের ছেলে। নাজমুল বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোতাহার হোসেন খান ওয়াফির ছেলে ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমজাদ হোসেন খান দিদারের ভাগ্নে।

অন্যদিকে আটক হওয়া দিলু একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) বিকাল ৪টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সুজন নামে এক যুবককে নাজমুলের এক বন্ধু থাপ্পড় মারে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার (৪ মে) সকালে স্থানীয় মৌলভীবাজারে দরবার অনুষ্ঠিত হয়।

দরবারে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পর পরই কাছের ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তায় ইমরানকে কান্দাইল গ্রামের মৃত হক্বু মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৫৩) কিলঘুষি দেয়। এ সময় নাজমুল তাকে নিবৃত্ত করতে গেলে সবুজের ছোটভাই কিরন মিয়া (৪৫) নাজমুলের ওপর চড়াও হয়ে তাকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন নাজমুলের বুকে সবুজ মিয়া ছুরিকাঘাত করে। এরপর কিরনের ছেলে সাকা (২৫) গিয়ে নাজমুলের পিঠে ছুরিকাঘাত করে।

এ সময় প্রতিপক্ষের অন্যরাও গিয়ে তাকে মারপিট করে। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও মারপিটে নাজমুল গুরুতর আহত হলে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বজনেরা। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে করিমগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ইফতেখারুজ্জামান, করিমগঞ্জ থানার ওসি মো: শামছুল আলম সিদ্দিকী ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এ সময় পুলিশ দিলু নামের একজনকে আটক করে। এছাড়া ঘটনাস্থলে গিয়ে সিআইডির একটি টিম ক্রাইমসিন নমুনা সংগ্রহ করেছে।

করিমগঞ্জ থানার ওসি মো: শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।