‘অশনি’ উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে

‘অশনি’ উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে

‘অশনি’ উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ ছানাউল হক মণ্ডল জানিয়েছেন, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিয়েছে। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে। ‘অশনি’র গতিপথ ভারতের উড়িষ্যার দিকে হলে এখনই বলা যাচ্ছে না যে- এটি কোথায় আঘাত আনবে। এর গতিপথ পরিবর্তন হবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর অশিনি’র গতিপথ ও এর অবস্থান সম্পর্কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এ পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছ।

আবহাওয়া অধিদফতরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত দুই থেকে তিন দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্র ঝড় এবং অন্যস্থানে তিন থেকে চার দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্র ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অধিদফতরের মে মাসের দেয়া দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি তীব্র তাপ প্রবাহ এবং অন্যস্থানে দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

সূত্র : বাসস