শ্রীলঙ্কায় সহিংসতায় এমপি নিহত

শ্রীলঙ্কায় সহিংসতায় এমপি নিহত

শ্রীলঙ্কায় সহিংসতায় এমপি নিহত

নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসা পদত্যাগ করেছেন। তবে তার পদত্যাগের পরও শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। আজ সোমবার সকাল থেকেই দ্বীপ দেশটিতে সহিংসতা বাড়ছে। এতে একজন এমপিসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

সোমবার মহিন্দা রাজাপাকসার দফতর থেকে জানানো হয়, একটি অন্তর্বর্তী ঐক্য সরকার গঠনের লক্ষ্যে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসার কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। গোতাবায়া হলেন তার ছোট ভাই।

এর মাধ্যমে প্রায় ২০ বছর ধরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তারকারী মহিন্দা রাজাপাকসা যুগের অবসান হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মহিন্দা রাজাপাকসার মুখপাত্র রোহান বিলিবিতা বলেন, 'নতুন জাতীয় ঐক্য' সরকার গঠনের লক্ষ্যে ৭৮ বছর বয়স্ক মহিন্দা রাজাপাকসা পদত্যাগ করেছেন।

এপ্রিল থেকে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা নিজেকে ‘অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া’ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসার ইস্তফার দাবি জোরদার হয়েছিল এই দ্বীপ রাষ্ট্রে।



এদিকে বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে সহিংসতার পর কারফিউ জারি করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে হামলা চালানোর প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হামলাকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও পানি কামান ব্যবহার করে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তবে নিহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসা ও তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসার পদত্যাগ দাবি করে আসছিল।
আজ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করার সময় সরকার সমর্থক শত শত বিক্ষোভকারী তাদের ওপর হামলা চালায়।

এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়। বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা নিজেকে ‘অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া’ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসার ইস্তফার দাবি জোরদার হয়েছিল এই দ্বীপরাষ্ট্রে। দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি কখনো এমন ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েনি।

আন্তর্জাতিক ঋণ এবং সুদ মেটাতে চলতি বছরের মধ্যে অন্তত ৬৯০ কোটি ডলার ব্যয় করার কথা শ্রীলঙ্কার। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জ্বালানি, কৃষিক্ষেত্রে সারের মতো একাধিক পণ্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। মাসের পর মাস এই অবস্থার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করে শ্রীলঙ্কার আমজনতা। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সাথে আন্দোলনে সামিল হয় কলকারখানায় লাখ লাখ কর্মী, গণপরিবহণ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত কর্মীরাও।

সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, আনন্দবাজার পত্রিকা