পাবনায় ৫ শতাধিক বিঘা জমির ধান পানির নিচে, শ্রমিক সংকট

পাবনায় ৫ শতাধিক বিঘা জমির ধান পানির নিচে, শ্রমিক সংকট

ছবি- নিউজজোন বিডি

এম মাহফুজ আলম, পাবনা: বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ নি¤œাঞ্চল (বিল এলাকা )। এসব জলাবদ্ধ জমিতে পাকা ধান কাটতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে না পারায় পাকা ধান পানিতেই পাবনা ধান থেকে গাছ বেরিয়ে যাচ্ছে। 

বিলে পানি নিস্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে কৃষকরা। জলাবদ্ধ জমি থেকে আধা পাকা ধান  কেটেই ঘরে তুলছে অনেকে। এদিকে সময়মত পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই ধান কাটতে পারছে না।

সময়মত ফসল ঘরে তুলতে না পারলে চলতি মৌসুমে ধানের উৎপাদনের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে এসব কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে জলাবদ্ধতার জন্য ফসল আবাদের কোন ক্ষতি হবে না। ইতোমধ্যে জলাবদ্ধ এলাকার অধিকাংশ জমি থেকে কৃষকরা ধান কেটে নিয়েছে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের কৃষক গোলজার হোসেন বলেন, করমজার ইটকাটা বিলে এ বছর ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে। ধান কাটতে এখনো সপ্তাহখানেক বাকী থাকলেও ইতোমধ্যে বিলের পুরো জমিতে জলাবদ্ধতার কারনে আধা পাকা ধান কেটে নিতে হচ্ছে।

তবে জলাবদ্ধ জমি থেকে ধান কেটে নেয়ার জন্য শ্রমিক পাচ্ছেন না তিনি। ৭০০ টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক মিলছে না। এতে সময়মত ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন তিনি।

বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামের কৃষক ওমর মোল্লা বলেন, সোনদহ বিলে ৩ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করে ভাল ফলনের আশা করলেও জমির পুরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় এখন অর্ধেক ফলন পাওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে তার।

একই অবস্থা পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা, পাঁচুরিয়া, কৈটোলার নিচু এলাকা এবং সাঁথিয়া উপজেলার করমজা,  সোনাতলা, ভিটাগারি, পাটগাড়ী বিলের প্রায় ৫ শতাধিক বিঘা জমির আধা পাকা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এসব বিলের কৃষকরা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন,‘জলাবদ্ধতার কারণে ফসল আবাদের কোনো প্রভাব পড়বে না’। তিনি জানান, বিলের কিছু এলাকায় পানি নিস্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও, জলাবদ্ধতার কথা জানার পরই এসব এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করেছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া কৃষকরা ইতোমধ্যে নিচু এলাকা থেকে ধান কেটে নিয়েছে ফলে ফসল উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না এই উপ-পরিচালক জানান ।