'দু’যুগ পর এবার ভোট দিতে পারলাম’

'দু’যুগ পর এবার ভোট দিতে পারলাম’

'দু’যুগ পর এবার ভোট দিতে পারলাম’

ভোট দিতে ভুলেই গিয়েছিলান। দু’যুগেরও বেশি হবে ভোট দিতে পারেনি আমরা। পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের মহাদেবপুরের মানুষ এভাবেই বলছিলেন ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে। খাদিজা বেগম, মরিয়ম খাতুন, রাহেলা বেগম, সালমা খাতুন, শামসু, মোশারোফ হোসেন, শাহীন হোসেনসহ অসংখ্য ভোটাররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন এভাবেই।

বুধবার (১৫ জুন ) ভাঁড়ারা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া প্রহরায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর মহাদেবপুর গ্রামের ভোটাররা তাদের  ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে খুবই খুশি তারা। সারিবদ্ধ লাইনে থাকা ভোটররা সাংবাদিকদের জানালেন,‘ইউনিয়ন পরিষদের ৫টি নির্বাচনে তারা তাদের ভোট দিতে পারেননি। এবার পুলিশ প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপে তারা ভোট দিতে পেরেছেন।

সাংবাদিকদের কাছে এ গ্রামের মানুষ বললেন, যে বারই বাড়ি থেকে  ভোট  দেয়ার জন্য কেন্দ্রের উদ্দেশে বের হয়েছি, তখনই কেন্দ্রের দূর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। দীর্ঘ ২৫ বছর এ গ্রামের  কেউ ভোট দিতে পারেনি। এত বছর পর কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পেরে খুব আনন্দিত আমরা।

নলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী প্রার্থী আবু সাঈদ খান পরপর চারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিগত ২৫ বছরে মহাদেবপুর গ্রামের ভোটাররা এই কেন্দ্রে আসতে পারেননি। পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মহাদেবপুর গ্রামবাসীকে ভোটকেন্দ্রে আনতে পেরে ভালো লাগার শেষ নেই।

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, কর্মতৎপরতা এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে বলে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ ভোট দেবে, কেন্দ্রমুখী করতে যা যা করার দরকার সেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।