গাইবান্ধায় ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

গাইবান্ধায় ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

গাইবান্ধায় ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

গাইবান্ধার সবগুলো নদীর পানি বাড়ছে। এতে চার উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ১২ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি হলেও এ দু’টি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে ৪৭ হাজার ৫৬৩ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন। বন্যাকবলিত ওই চার উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে এবং নতুন করে আরো বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা-কবলিত চার উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত বন্যা-কবলিত চা্র উপজেলার এক হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। অপরদিকে সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে ১০৫টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা দেয়ার কাজ শুরু করেছে।