মেক্সিকোয় আবার সাংবাদিক হত্যা

মেক্সিকোয় আবার সাংবাদিক হত্যা

মেক্সিকোয় আবার সাংবাদিক হত্যা

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাসের শহরের এক পত্রিকার রিপোর্টার আন্তনিয়ো দে লা ক্রুস বুধবার নিজের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই আততায়ীর গুলিতে লুটিয়ে পড়েন৷ হামলায় তার স্ত্রী এবং ২৩ বছর বয়সি কন্যাও আহত হয়েছেন৷ দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক৷

উত্তর আমেরিকার দেশটিতে বছরে সর্বোচ্চ ১৩ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে৷ ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসেই সেই রেকর্ড হুমকির মুখে৷

৪৭ বছর বয়সি আন্তনিয়ো দে লা ক্রুসকে কে, কেন হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি৷ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ইতিমধ্যে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তনিয়োর সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা তদন্ত করে জানার জন্য মেক্সিকো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেস-এর মুখপাত্র ইয়েসুস দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর এমন হামলা চলতে দিতে পারি না৷ অপরাধীর শাস্তি অবশ্যই হবে৷''

জানা গেছে, তামাউলিপাসের চিউদাদ ভিক্টোরিয়া শহরের এক্সপ্রেসো পত্রিকার প্রতিবেদক আন্তনিয়ো দে লা ক্রুস মূলত পানি সংকটসহ স্থানীয় নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন করতেন৷ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন৷

তবে এক্সপ্রেসোর সম্পাদক মিগুয়েল দমিংগুয়েজ বলেছেন, ‘‘নিজের জীবন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা আছে এমন কথা আন্তনিয়ো কখনো আমাদের বলেনি৷'' মিলেনিও টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘‘তিনি (আন্তনিয়ো) তামাউলিপাসের বাস্তবতা সম্পর্কে জানতেন৷ খুব সাহসী ছিলেন তিনি৷''মেক্সিকোয় সাংবাদিক হত্যা প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷ ২০০০ সাল থেকে সে দেশে এ পর্যন্ত ১৫০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷

তামাউলিপাস এমনিতেও খুব সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা৷ সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মের জন্য কুখ্যাত অঞ্চলটিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা সাংবাদিক হত্যাও নতুন কিছু নয়৷

অতীতে এক্সপ্রেসো পত্রিকাও হামলার শিকারহয়েছে৷ সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছিল ২০১২ সালে৷ সেবার এক্সপ্রেসো কার্যালয়ের বাইরে বোমা হামলা চালানো হয়৷২০১৮ সালে কার্যালয়ের বাইরে মৃতদেহ রেখে চিরকুটে লিখে দেয়া হয়, সন্ত্রাস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এই পরিণতি হবে৷সে বছরই এক্সপ্রেসোর রিপোর্টার হেক্টর গণ্সালেসকে পিটিয়ে মারে সন্ত্রাসীরা৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে