এবার ৯৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারি মালিকরা

এবার ৯৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারি মালিকরা

এবার ৯৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারি মালিকরা

ঈদের তিন দিনে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। সেই সাথে তিনি জানান, এবার ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হবে।

বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।শাহীন আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার (১৫ জুলাই) থেকে আমরা লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করব। বিভিন্ন হাট ধরে চামড়া সংগ্রহ শুরু হবে। বিভিন্ন জায়গায় লবণ দিয়ে রাখায় চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে এ বছর। আমরা ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘ছাগলের চামড়ার বিশ্বব্যাপী ডিমান্ড কমেছে। আমরা হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিফট করেছি ২০১৭ সালে। সেখানে মূলত খাসি ও ছাগলের চামড়ার ইউনিটগুলোকে আমরা নিতে পারিনি। সাভারে আমাদের ৫ থেকে ৬টি ইন্ডাস্ট্রি আছে, যারা ছাগল ও খাসির চামড়া প্রসেস করে। এটার বিরূপ প্রভাব কয়েক বছর ধরে পড়েছে।’

‘এবার ৫ থেকে ৬ লাখ বকরির চামড়া নষ্ট হয়েছে এমন তথ্য আছে আমাদের কাছে আছে,’ বলেন তিনি।

শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ বছর ঈদের আগেই সরকার যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছিল সেটা যুগোপযোগী হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল সেটার প্রভাব আমরা মাঠপর্যায়ে দেখছি। বিভিন্ন উপজেলায় চামড়া সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আরেকটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকার ভেতরে ৭ দিন চামড়া ঢুকতে না দেয়া। ট্যানারি মালিকদেরও সে রকম সক্ষমতা নেই যে ১-২ দিনের ভেতরে লাখ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা সম্ভব। যারা হাইডেন মার্চেন্ড আছে তাদেরও সক্ষমতা নেই। সেই কারণে বিভিন্ন জেলায় চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

শাহীন আরো বলেন, জেলা পর্যায়ে এতিমখানা-মাদরাসায় দেখা যায় লবণ দেয়ার প্রবণতা কম। তারা রক্তযুক্ত চামড়া বিক্রি করেছে।

চামড়াজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা বাড়লেও দেশে কাঁচা চামড়ার কেন কমছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘চামড়াজাত পণ্য বা চামড়ার দর বহির্বিশ্বে কমেনি। আমরা যে চামড়া উৎপাদন করছি, সেই চামড়া আমরা ব্র্যান্ড বায়ারদের কাছে সেল করতে পারছি না। আমরা নন-কমপ্লায়েন্ট বায়ার অর্থাৎ চায়নিজ বায়ারের কাছে যে পণ্যের দাম ২ ডলার সেটা আমরা ১ ডলারে বিক্রি করছি। অধিকাংশ ট্যানারি মালিক ব্যবসা পরিচালনা করার স্বার্থে লসে চামড়াগুলো সেল করছে।

তিনি বলেন, ‘১৬ সাল পর্যন্ত আমরা ব্র্যান্ড বায়ারদের কাছে আমরা পণ্য সেল করেছি। এসব ব্র্যান্ড বায়ারদের যদি ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে এলডব্লিউজি সনদ দরকার। ৩০ থেকে ৪০টি ট্যানারি অন্তর্ভুক্ত হলেও আমাদের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যাবে এক বছরের মধ্যে। কাঁচা চামড়ার দাম পাচ্ছে না, সেই সমস্যাও লাঘব হবে। সঠিক দামটা সেই সময় পাবে।’