এক বছরে আয়া সোফিয়া দর্শন করেছেন ৬০ লাখ পর্যটক

এক বছরে আয়া সোফিয়া দর্শন করেছেন ৬০ লাখ পর্যটক

ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের অন্যতম দর্শনীয় স্থাপনা আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ। ৮৬ বছর পর ২০২০ সালের ২৪ জুলাই মসজিদটি পুনরায় খুলে দেয়া হয়। রোববার (২৪ জুলাই) ছিল মসজিদটির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। দুই বছর আগে ওই দিনে মসজিদটি তার পুরনো গৌরব ফিরে পায়। দ্বিতীয় বছরে মসজিদটি দর্শন করেছে ৬০ লাখ ৫০ হাজার পর্যটক।

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে তুরস্কের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে আয়া সোফিয়া একটি। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় মসজিদটি যুক্ত হয়।

ইস্তাম্বুলের ডেপুটি মুফতি আহমেত আকতুরকোগলু বলেন, ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদটি পুনরায় খোলার দ্বিতীয় বছরে ৬০ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শককে স্বাগত জানিয়েছে।

মুসলমানরা ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর ধরে ঐতিহাসিক স্থাপনাটি গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এরপর ১৪৫৩ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শ’ বছর স্থাপনাটি মসজিদ ছিল। তবে ৮৬ বছর মসজিদটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২০২০ সালের ১০ জুলাই তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার একটি ডিক্রি বাতিল করেছে, যার ফলে ৮৬ বছর পর আয়া সোফিয়া জাদুঘর থেকে মসজিদে পরিণত হয়।

এরপর ২৪ জুলাই আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ হিসাবে তার আগের গৌরব পুনরুদ্ধার করে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান মসজিদের ভেতরে ৮৬ বছর পর প্রথম শত শত মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় করেন।

পুনরায় মসজিদটি খোলার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে আনাদোলু এজেন্সিকে (এএ) মুফতি আকতুরকোগলু বলেন, মুসলমানদের বিজয়ের পরে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

তিনি বলেন, আয়া সোফিয়া, বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম স্থাপনাগুলোর মতো। বিপুল সংখ্যক পর্যটক এবং মুসল্লিরা মসজিদটি দর্শন করতে আসেন।

মুফতি আকতুরকোগলু বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অনেক পবিত্র স্থানের মতো আয়া সোফিয়াও দর্শনার্থীদের ঢল নামে। বিশেষ করে মসজিদ হিসেবে পুনরায় খুলে দেয়ার পর এর প্রতি স্থানীয় এবং বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ আরো বেড়ে গেছে। দ্বিতীয় বছরে মসজিদটিতে ৬০ লাখ ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক এসেছে।’

তিনি আরো বলেন, দিন দিন আয়া সোফিয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ