প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর নিয়োগে আরো সতর্ক হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর নিয়োগে আরো সতর্ক হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর নিয়োগে শিক্ষা বোর্ডকে আরও সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন,‘বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, ‘তাতে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব¡ দেয়ার ক্ষেত্রে সব শিক্ষা বোর্ডকে আরো সতর্ক হতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ‘একাত্তরে গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

স্বাধীনতার অপশক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই অপশক্তি এখনো ক্রিয়াশীল। এখনো তারা খুবই সক্রিয়। 

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি তো দেশের সেবা; মানুষের সেবা। এটি ইতিবাচক। আপনারা (বিএনপি) মুখে বলেন, রাজনীতি করছি, অথচ এই বাংলাদেশে বাস করে শহীদের রক্ত নিয়ে ঔদ্ধত্য দেখান। স্বাধীনতার শত্রু মানবতা বিরোধী অপরাধ যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে নিয়ে ক্ষমতায় যান। শহীদদের রক্তরঞ্জিত পতাকা তাদের গাড়ীতে তুলে দেন। কেন তারা এদেশের রাজনীতিতে থাকবেন? এটি বোধগম্য বিষয় নয়।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতার পরে সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষের শক্তি কেন থাকবে! স্বাধীন যখন হয়ে গেছে, যারা সরকারে থাকবে তারা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ হবে, যারা বিরোধী দলে থাকবে তারাও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ হবে। তারা সবাই মিলে স্বাধীন দেশটাকে গড়বে -যেখানে  সরকার-বিরোধী দল সবাই মিলে-মিশে থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পরে এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা আছি। এতদিন পেরুবার পরও এখন সরকারে আছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর বিরোধী দলের একটা অংশ তারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি।’ 
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জায়গায় ফিরে আসতে পেরেছি। সরকারে পরপর তিনটি মেয়াদে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। সে জন্য আজকের এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি যতোই আস্ফালন করুক না কেন-বাধা দেয়ার চেষ্টা করুক না কেন, তারপরও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এই বাংলাদেশে আর কেউ তা করতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেরেছেন’।

সূত্র: বাসস