আজ বিশ্ব এইডস দিবস

আজ বিশ্ব এইডস দিবস

ফাইল ছবি

বিশ্ব এইডস দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি’। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

এইডস (অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম) হলো এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এ রোগ এইচআইভি নামক ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এইচআইভি এমন একটি ভাইরাস, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।

তাছাড়া এ ভাইরাসটি রক্তের সাদা কোষ নষ্ট করে দেয়, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়া। তবে এইচআইভি ও এইডস কিন্তু একই নয়। এইচআইভি একটি ভাইরাস এবং এইডস একটি অসুস্থতা, যা এইচআইভির কারণে হয়।

বিশ্ব এইডস দিবসটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দ্বারা চিহ্নিত, বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সচেতনতার উদ্দেশ্যে ঘোষিত আটটি বিশেষ দিনের মধ্যে একটি। বাকি সাতটি দিন হলো- বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস, বিশ্ব টিকা দিবস, বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস এবং বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মোট এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক লোক ৩৬ দশমিক ২ মিলিয়ন। মোট আক্রান্তের ১৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন নারী এবং ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন শিশু। শুধু ২০১৮ সালে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক দশমিক সাত মিলিয়ন, যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক এক দশমিক ছয় মিলিয়ন। এ সময়ে এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার মানুষের। যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ছয় লাখ ৭০ হাজার এবং শিশু এক লাখ।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ছয় হাজার ৬০৬ জন।

ইউএনএইডস এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডস আক্রান্ত রয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতি রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। এর ফলে এটি নথিভুক্ত ইতিহাস অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম জনস্বাস্থ্য বিষয় হিসেবে পরিণত হয়েছে।