ওয়ানডেতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের

ওয়ানডেতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের

ওয়ানডেতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের

পারেননি সাকিব আল হাসান, পারেননি তৌহিদ হৃদয়ও; খুব কাছে গিয়েও শতক হাতছাড়া করেছেন উভয়েই। শতকের ক্ষণগণনায় থাকা কোটি সমর্থকের বুকে ররক্তক্ষরণ করে ফিরেছেন দুজনে। সাকিব আউট হন ৯৩ আর আর হৃদয় হৃদয় ভাঙেন ৯২ রানে। তবে দু'জনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।

পাওয়ার প্লের মাঝে দুই ওপেনারকে হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারেই ফেরেন তামিম ইকবাল খান। দলীয় ৩য় ওভারে মার্ক এড্যায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি, আউট হবার আগে করেন ৯ বলে মাত্র ৩ রান৷ তবে শুরুতেই অধিনায়ককে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখায় দ্বিতীয় উইকেট জুটি।

লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৪ বলে ৩৪ রান। যখন মনে হচ্ছিলো এবার পাল্টা আক্রমণে যাবে টাইগাররা, তখনই স্টার্লিংকে ক্যাচ অনুশীলন করান লিটন, পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফিরেন তিনি। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান আসে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।

লিটন আউট হবার পর সবাইকে অবাক করে চার নাম্বারে নেমে আসেন সাকিব আল হাসান। আগের দিনই প্রধান কোচ বলেছিলেন, যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই সাকিব আল হাসানকে খেলাবেন। সেই সূত্রে যেন আজ আগেভাগে সাকিবের নেমে আসা৷ শুধু শুধুই নেমে আসেননি সাকিব, রেখেছেন কোচের বিশ্বাস। ৪৯ রানে ২ উইকেট হারানো দলটাকে রেখে সাকিব যখন ফিরলেন, দলের রান তখন ৪ উইকেটে ২১৬।

অবশ্য একক কৃতিত্ব দেয়া যায় না সাকিবকে, তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি হয়েছেন সাকিবের পথেরই পথিক। প্রথমে শতক না স্পর্শ করতে পারার আক্ষেপ নিয়ে ৮৯ বলে ৯৩ রানে ফেরেন সাকিব, অতঃপর সেই আক্ষেপ আরো বাড়িয়ে দেন হৃদয়। সাকিবের মতোই খুব কাছে গিয়েও নিরাশ করেছেন তিনি। ৮৫ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন হৃদয়।

অবশ্য আউট হবার আগে দেশের ক্রিকেটের একটা রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তৌহিদ, নাসিরকে পেছনে ফেলে ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার এখন তিনি। ২০১১ সালে নাসিরের করা ৬৩ রানের ইনিংসটি ছাপিয়ে গেছেন হৃদয়।

হৃদয় আউট হবার এক বল আগে একই ওভারে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও। ছয় নাম্বারে নেমে দারুণ ব্যাট করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। যদিও অর্ধশতক স্পর্শ করতে না পারার হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তিনিও; তবে ২৬ বলে ৩ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে দিয়ে যান ভালো একটা অবস্থান। হৃদয়ের সাথে গড়ে তুলেছিলেন ৪৯ বলে ৮০ রানের জুটি।

এরপর তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদের সমান ৭ বলে ১১ ও ইয়াসির আলী রাব্বির ১০ বলে ১৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এদিকে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন গ্রাহাম হোম।