রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেকর্ড

রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেকর্ড

ফাইল ছবি

মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। যা চলতি বছরেও বিদ্যমান রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে করপোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল ৫১৩ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যা ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩ দশমিক ৩১ কোটি এবং ৮৭৯ দশমিক ৬৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, গত ৩ বছরে কোনো খাতেই কর বৃদ্ধি করেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে গেল ৩ বছরে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি নতুন খাত থেকে রাজস্ব আদায় চলমান রয়েছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি বাস্তবায়ন করে চলছে বলে ঘোষণা দেয় ডিএসসিসি। যার আওতায় প্রশাসনিক সংস্কারে তোড়জোড় দেখা যায়। গেল বিগত ৩ বছরে দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অপরাধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এছাড়াও একই সময়ে প্রয়োজনীয় জনবল ঘাটতির প্রকটতা কমাতে ভারী গাড়ির ১০৯ জন চালকসহ ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নাগরিক সেবা প্রদান ও করপোরেশনের নৈমিত্তিক কাজে অনেকটাই গতি আসে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সুশাসিত ঢাকা গড়ে তোলা আমার অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে একটি সুশাসিত সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহশীলতা নীতির বাস্তবায়ন, নতুন নতুন খাত সৃষ্টির মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে আমি আন্তরিকভাবে সচেষ্ট ছিলাম এবং আগামী দিনেও আমাদের এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখা হবে। 

তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আমরা পূর্বেকার প্রায় সকল বকেয়াসহ প্রাত্যহিক পাওনা পরিশোধ করেছি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, খাল ও নর্দমা হতে বজ্য অপসারণ, করপোরেশনের প্রায় সকল গাড়ির নিবন্ধন, দীর্ঘ ৫০ বছরের ভূমি উন্নয়ন করসহ অন্যান্য পুঞ্জীভূত পাওনাদিও পরিশোধ করা হয়েছে।