জাতিসংঘ দূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা সুদানের

জাতিসংঘ দূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা সুদানের

সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি এবং ইউএন ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিশন অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন (ইউএনআইটিএএমএস) প্রধান ভলকার পার্থেসকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সুদান। ভলকার পার্থেসকে সুদানে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করেছে খার্তুম।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সুদান প্রজাতন্ত্রের সরকার জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেছে যে, তারা ভলকার পার্থেসকে আজ থেকেই মর্যাদাহীন ঘোষণা করছে।’

জাতিসংঘ মিশনের টুইটার ফিড অনুসারে পার্থেস বৃহস্পতিবার (৮ জুন) একাধিক কূটনৈতিক আলোচনার জন্য ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় ছিলেন।

জাতিসংঘ-প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসের শেষের দিকে জানিয়েছিলেন, সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান কর্তৃক বিশেষ দূত পার্থেসকে সরানোর অনুরোধ জানানো চিঠিতে তিনি মর্মাহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সে সময় এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘ভলকার পার্থেসের কাজের জন্য গর্বিত গুতেরেস এবং তার বিশেষ প্রতিনিধির প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

এর পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভাবনাচিন্তা শুরু করে আফ্রিকার দেশটি।

সাবেক শিক্ষাবিদ পার্থেস ২০২২ সাল থেকে সুদান মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এদিকে এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই রাজধানী খার্তুম ও দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলকে ধ্বংস করেছে।

খার্তুমের কোনো জেলায় পানি নেই এবং প্রতি সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।

যুদ্ধপ্রবণ অঞ্চলের তিন-চতুর্থাংশ হাসপাতাল কার্যত বন্ধ রয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) অনুমান অনুসারে, সুদানের ১৪ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আরও ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ জন প্রতিবেশী দেশগুলোয় পালিয়ে গেছে।

সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৮০ বেসামরিক লোকের মৃত্যু রেকর্ড করেছে।

পশ্চিম দারফুরের এল-জেনিনা শহরে আরও শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্র : আলজাজিরা