বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকদের আন্দোলন : সমাধানে সময় চাইলেন ভিসি

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকদের আন্দোলন : সমাধানে সময় চাইলেন ভিসি

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকদের আন্দোলন : সমাধানে সময় চাইলেন ভিসি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে থাকা প্রাইভেট প্রশিক্ষণার্থী পাঁচ শতাধিক চিকিৎসকের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানে সময় চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি অধ্যাপক ডা: মো: শারফুদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি ওই ঘটনার জন্য বিএনপি ও জামায়াতপন্থী চিকিৎসদের দায়ী করেন।ভিসি এ সময় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, “আন্দোলনকারীরা যদি কর্মবিরতিতে যেতে চায়, তাহলে কিন্তু ‘কোর্স আউট’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, এটা যেন মাথায় রাখে। আমাদের আইনে আছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি টানা তিন দিন ক্লাসে উপস্থিত না থাকে, তাহলে তাদের বের করে দেয়া যাবে।”

বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘তারা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের আমরা বুঝিয়েছি যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করব।’তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল, স্যার সলিমুল্লাহ ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তা অধ্যক্ষদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ। তারা এ মুহূর্তে টাকার ব্যবস্থা করতে হবে প্রতিশ্রুতি চাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত করে তুলতে একটি কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্রে নেমেছে। বিএনপি ও জামায়াতপন্থী চিকিৎসকদের নেতৃত্ব নিতে ইস্যু সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।’এর আগে তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ ভিসির কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা করা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে তুলেন তারা।একপর্যায়ে তারা ভিসি অধ্যাপক ডা: শারফুদ্দিন আহমেদকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন। এ সময় ভিসির পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের শান্ত করার চেষ্টা করা হলে, তারা সরাসরি ভিসির সাথে কথা বলতে চান।পরে বিকেলে তাদের সাথে বৈঠকে বসেন ভিসি।