বলিউড রাজনীতির বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ছিল তাপসীর

বলিউড রাজনীতির বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ছিল তাপসীর

সংগৃহীত

তাপসী পান্নুর অভিনয় ক্যারিয়ার ১০ বছরেরও কিছু বেশি সময়ের। এর মধ্যে দক্ষিণ ভারত থেকে বলিউডের সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। দিয়েছেন বেশকিছু হিট সিনেমা। কয়েক বছর ধরে তিনি আলোচনায় আছেন সিনেমা ও এর বাইরের নানা বিষয় নিয়ে। বিশেষত যেকোনো বিষয়ে সোজাসাপ্টা কথা বলেন। সম্প্রতি বলিউডের দলবাজি নিয়ে তাপসী বলেছেন, এ নিয়ে আগেই অবগত ছিলেন তিনি। নতুন করে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে তার মানসিক প্রস্তুতি ছিল।

বলিউেড নানা ক্যাম্প থাকে এ কথা সবারই জানা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‌বলিউডের ক্যাম্প সম্পর্কে সবাই জানে। এটা বহুদিন ধরেই আছে। ক্যাম্প কোনো অভিনেতার বন্ধুদের নিয়ে তৈরি হতে পারে। হতে পারে কোনো এজেন্সির নিজস্ব লোকদের। এছাড়া কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির পছন্দের লোকদের নিয়েও দল তৈরি হতে পারে।’ কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি ইন্ডাস্ট্রি বা অন্য কাউকে দোষী করতে চান না। কেননা মানুষ সবসময়ই কোনো না কোনো দলের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকতে চায়। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিজস্ব স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন তিনি। তাপসী বলেন, ‘‌প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে কাজ করার অধিকার আছে। কাকে নিজের সিনেমায় নেবেন, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। আমি আমার ক্যারিয়ারের ভালো-মন্দের জন্য অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারি না।’

সম্প্রতি প্রিয়াংকা চোপড়া বলিউডের ক্যাম্প, রাজনীতি, নেপোটিজম নিয়ে বেশকিছু মন্তব্য করেছেন। বলিউড ছাড়ার পেছনে বেশকিছু ক্যাম্পের প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাপসীর সাম্প্রতিক এসব মন্তব্যের কারণ বা লক্ষ্য প্রিয়াংকা বলেই মনে হচ্ছে। তাপসীর নামে এ ধরনের কিছু প্রচলিত কথা আছে। তার সোজাসাপ্টা কথার কারণেই এসব হয়। এছাড়া হাসিন দিলরুবা সিনেমাটিতে অভিনয়, তার চরিত্র ও সে চরিত্রের দ্বিচারিতা সম্পর্কে সাফাই গাওয়ার কারণে সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই তাকে একজন ‘‌তিতা কথার মানুষ’ হিসেবে ট্যাগ করে দেয়া হয়েছে।

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়েও তার পর্যবেক্ষণ সোজাসাপ্টা। তিনি মনে করেন, এখানে ন্যায়নীতি আশা করা উচিত নয়। তাপসী বলেন, ‘‌ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবকিছু মসৃণ হবে, আমি তা আশা করি না। কোনো না কোনোভাবে একচোখা মানুষ ও মনোভাব থাকবেই। এ নিয়েও আমার পূর্বপ্রস্তুতি ছিল। এখন তিক্ততা ছড়িয়ে লাভ কী? আমার কাছে মনে হয়, খেলার নিয়মটাই এমন যে এখানে ফাউল হবে, সেটা মেনে নিয়ে নিজের জায়গাটা তৈরি করতে হবে। আপনি যদি মনে করেন এ ইন্ডাস্ট্রির অংশ হবেন, তাহলে জেনেশুনেই সে পথে পা বাড়ানো উচিত। পরে অভিযোগ করার কোনো মানে হয় না।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস