যেভাবে শাহজাহানের প্রধান জল্লাদ হওয়া

যেভাবে শাহজাহানের প্রধান জল্লাদ হওয়া

সংগ্রহিত ছবি।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, শাহজাহান ভূঁইয়ার মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। তার মধ্যে তিনি ১০ বছর পাঁচ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন। 

৩২ বছর কারাগারে থাকা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া (৭৩) অবশেষে রবিবার (১৮ ‍জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মুক্তি পান। 

জানা গেছে, জীবনের সোনালি সময়গুলো তাকে এই কারাগারেই কাটাতে হবে— এমন ভাবনা থেকে তিনি চিন্তা করলেন জল্লাদ হিসেবে সময় দিলে তার সাজা কিছুদিনের জন্য হলেও কম হবে।

তাই নিজেকে অন্যভাবে প্রস্তুত করার জন্য জেল সুপারের কাছে জল্লাদের খাতায় নাম লেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

জানা যায়, শাহজাহান ভূঁইয়া ১৯৮৯ সালে সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে তার জল্লাদজীবনের সূচনা করেন। এটিই তার জীবনের প্রথম কারাগারে কাউকে ফাঁসি দেওয়া। তার যোগ্যতা দেখে আট বছর পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের আসন দেয়।

আলোচিত ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানকে প্রধান জল্লাদ হওয়ার পর প্রথম ফাঁসি দেন। তিনি জানান, একটি ফাঁসি দিতে প্রধান জল্লাদের সঙ্গে ছয়জন সহযোগী লাগে এবং ফাঁসির রায় কার্যকর করলে প্রত্যেক জল্লাদের দুই মাস চার দিন করে কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়। 

কারাগারে যারা জল্লাদ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন, কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শাহজাহান তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। জল্লাদ শাহজাহান দেশের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসির প্রধান জল্লাদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।