ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প

ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প

ফাইল ছবি

ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে রোববার ৬.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এমন তথ্য জানিয়েছে।

মেক্সিকোর বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস নিশ্চিত করেছে যে, ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এমন এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে বন্দরে সম্ভাব্য স্রোতের কারণে নৌকা ও কাছাকাছি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইএমএসসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল)। 

ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরই মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা বলেছিল যে, মার্কিন পশ্চিম উপকূল, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বা আলাস্কার জন্য কোনও সুনামির আশঙ্কা নেই।

মেক্সিকান সিভিল ডিফেন্স অফিস পরে টুইটারের মাধ্যমে বলেছে, যে অঞ্চলটিতে ভূমিকম্পটি ঘটেছে সেখানে সমুদ্রের জলস্তরের সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩।

ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগর কর্টেজ সাগর, কর্তেস সাগর অথবা সিন্দূর সাগর নামেও পরিচিত। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রান্তীয় সাগর, যেটি বাজা ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপকে মেক্সিকোর মূলভূখন্ড থেকে পৃথক করেছে। সম্ভব্য চার হাজার কিলোমিটার তটরেখা নিয়ে এর সঙ্গে মেক্সিকোর রাজ্য বাজা ক্যালিফোর্নিয়া, বাজা ক্যালিফোর্নিয়া সার, সোনোরা, এবং সিনালোয়ার সঙ্গে মিশেছে। যেসব নদী ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে পতিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- কলোরাডো, ফোর্ট, মেয়ো, সিনালোয়া, সোনোরা, এবং ইয়াকুই নদী। উপসাগরটির পৃষ্ঠ এলাকা প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার।

পৃথিবীর অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ সমুদ্র বলে বিবেচনা করা হয় এই উপসাগরকে। পাঁচ হাজারের অধিক দীর্ঘ অমেরুদন্ডী প্রজাতির আবাসস্থল এটি। এর আশপাশে প্রায় দশ লাখ মানুষের বাস। বাজা ক্যালিফোর্নিয়া হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম উপদ্বীপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয় উপদ্বীপের পরে।ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপের কিছু অংশ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।

সূত্র: রয়টার্স ও উইকিপিডিয়া