শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে বিশেষভাবে হলে থাকার সুযোগ আছে : উপ-উপাচার্য

শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে বিশেষভাবে হলে থাকার সুযোগ আছে : উপ-উপাচার্য

শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে বিশেষভাবে হলে থাকার সুযোগ আছে : উপ-উপাচার্য

আগামী ২৪ জুন থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শুরু হচ্ছে ঈদুল আজহার ছুটি। তবে আবাসিক হলসমূহ বন্ধ হচ্ছে ২২ জুন থেকে। সোমবার (১৯ জুন) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ জুন সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারে ২৪ জুন থেকে ছুটির বিষয় উল্লেখ থাকায় সে অনুযায়ী ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া দূর দূরান্তের শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ক্যালেন্ডারে ২৪ তারিখ থেকে ছুটির কথা থাকলেও এর আগে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মূলত ২২ তারিখ থেকেই ছুটি শুরু হচ্ছে। এজন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৪ জুন থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। তবে ৬ ও ৭ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ৮ জুলাই থেকে দাপ্তরিক ও শ্রেণি-কার্যক্রম শুরু হবে। এর একদিন আগে ৭ জুলাই সকাল ১০টা থেকে হলসহমূহ খুলে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হল বন্ধের সিদ্ধান্তে ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি হিসেবে অগ্রীম টিকিট নেওয়া শিক্ষার্থীরা বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন। প্রতিবারের ন্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর হল বন্ধের ধারণা থেকে ২৩ ও ২৪ জুন বাস ও ট্রেনের অগ্রীম টিকেট নিয়েছেন অনেকে। টিকিট বাতিল করলে নতুন করে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়া ২২ জুন দিনের বেলায় উত্তরবঙ্গসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ট্রেন না থাকায় শিক্ষার্থীদের ২১ জুন রাতে যাত্রা করতে হবে। এতে নারী শিক্ষার্থীরা অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানান অনেকে।

রানা আহমেদ নামের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কয়েক বন্ধু ক্যালেন্ডার দেখে ২৪ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট করেছি। এখন দুই দিন আগে হল বন্ধ হওয়ায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছি। টিকিট ক্যানসেল করলে নতুন করে আর টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকদিন আগে সিদ্ধান্ত নিলেও এমন হতো না।

তৌফিক আলম নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমি ২৪ তারিখ দুপুরের টিকিট করেছি। এই দুইদিন কোথায় থাকবো? আমার যাওয়া যায়গা নেই। আমি হলেই থাকতে চাই। যেখানে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধই হয় না, সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যেন ছুটি দিতে পারলেই হাফ ছেড়ে বাঁচে।

এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের উচিৎ ছিল ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ও বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবুও যেহেতু তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটাকে মেনে নিতে হবে। তবে কোন শিক্ষার্থী যদি সমস্যায় পড়ে বা যেতে না পারে তাহলে সুযোগ আছে আবেদন করে প্রয়োজনে থেকে যাবে এবং পরের দিন যাবে। শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে আমরা প্রভোস্ট কাউন্সিলকে বলে দেব।

উল্লেখ্য, গত বছর ঈদুল আজহার ছুটিতেও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আগে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রী হলেও অভ্যন্তরে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেন। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দুদিন পর হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।