মুনলাই পাড়াতে চোখ জুড়ানো মেঘ-পাহাড়

মুনলাই পাড়াতে চোখ জুড়ানো মেঘ-পাহাড়

মুনলাই পাড়া

বান্দরবানের সদর উপজেলা রুমা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে মুনলাই পাড়া। দূর্গম পাহাড়ি এলাকার ছোট্ট পাড়াটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দেশজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে।এই জেলার অধিকাংশ বম জনগোষ্ঠী বসবাস এই পাড়ায়। বলা চলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর গোছানো অন্যান্য গ্রাম হরেও রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়া একটু বেশিই সুন্দর।বগালেক যাওয়ার পথে দেখা মেলে বম সম্প্রদায়ের এই পাড়া। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিতভাবে করা শোভাবর্ধক বিভিন্ন ফুল গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের।২০১৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা তিন পার্বত্য জেলার সবচেয়ে গোছানো, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন গ্রামের উপাধি দেন এই মুনলাই পাড়াকে।

স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৩২ বছর আগে রুমা উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে মাত্র ৬ বম সম্প্রদায়ের পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠে পাড়াটি। নাম রাখা হয় মুনলাই। বর্তমানে ৪৭ পরিবারের বসবাস এই পাড়ায় এবং তারা সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।বগালেক যাওয়ার পথে দেখা মেলে বম সম্প্রদায়ের এই পাড়া। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিতভাবে করা শোভাবর্ধক বিভিন্ন ফুল গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের।রুমার রেমাক্রী প্রাংসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিরা বম বলেন, এ পাড়াটিকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেন বাইরে থেকে যারা বেড়াতে আসেন তারা দেখে সন্তুষ্ট হন। শুধু পরিষ্কারই নয়, কেউ বেড়াতে আসলে এখানকার তরুণ-তরুণীরা নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে বরণও করেন।

রুমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহাবুল হক বলেন, প্রায় অর্ধশত বম সম্প্রদায়ের বসবাস এই মুনলাই পাড়ায়। চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তার। তবে এতো সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গোছানো পাড়া কোথাও দেখেননি তিনি। অবসর পেলেই কিছুটা সময় কাটাতে এই মুনলাই পাড়ায় ছুটে যান।