বগুড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের

বগুড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের

ফাইল ছবি।

বগুড়ায় কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। রোববার (২ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা দাম কমেছে। সর্বশেষ পাইকারি বাজারে ২৮০ এবং খুচরা বাজারে ৩৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়া রাজাবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, ‘সরবরাহ বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ১৫০ টাকা কমেছে।  এখন পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগামীকাল থেকে ভারতের মরিচ পাওয়া যাবে, তখন দাম আরও কমবে।’

ভারতের মরিচ বাজারে না আসার আগেই একদিনের ব্যবধানে দাম কমলো কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকাল ছিল ঈদের তৃতীয় দিন। হাট-বাজার প্রায় বন্ধ ছিল, তাই মালও আসেনি। বাজারে পর্যাপ্ত মাল থাকলে এমনটা হতো না। আজ সরবরাহ ভালো, দামও কমেছে।’

উল্লেখ্য, শনিবার (১ জুলাই) বগুড়ার পাইকারি বাজা‌রে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকায় এবং খুচরা ৫৮০ টাকায়। মরিচ উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় এমন আকাশছোঁয়া দামের কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী নেতারা বলেছিলেন, দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দেয়ায় এবং ঈদের কারণে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।

অপরদিকে কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল, বগুড়ায় দুই সময়ে (র‌বি মৌসুম এবং খ‌রিপ মৌসুম) ম‌রিচ চাষাবাদ হয়। র‌বি মৌসু‌মে চাষ হয় ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। আর খরিপ মৌসু‌মে ৬৭৫ হেক্টর জমিতে।

খরিপ মৌসু‌মে চাষ কম হওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, মরিচ বেশি উৎপাদিত হয় বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট ও গাবতলী উপজেলায়। আর এই চার উপজেলাই বন্যাপ্রবণ।

ইতিমধ্যে সারিয়াকান্দি-সোনাতলার অধিকাংশ জমি পানির নিচে। যে কারণে উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, কিছুদিন আগে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে ম‌রি‌চ গাছ নষ্ট হ‌য়ে গেছে। যে কারণে উৎপাদন ব‌্যহত হ‌য়ে‌ছে। বাজা‌রে কাঁচা ম‌রিচ কম পাওয়ার এটাও অন্যতম এক‌টি কারণ।