২৩ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

২৩ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

২৩ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

আগামীকাল বুধবারের সমাবেশের জন্য বিএনপিকে ২৩ শর্তে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ - ডিএমপি।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে স্পেশাল এ্যাসিসট্যান্ট সৈয়দ মামুন মোস্তফা বিপিএম এর এক নোটিশে তথ্য জানানো গেছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১২ জুলাই একটি আবেদন করা হয়। আগামী কাল বুধবার ১৪.০০ ঘটিকা হতে ১৭.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে (পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং থেকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থানে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র উদ্যোগে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হলো।

শর্তাবলী

(১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

(৩) অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

(৪) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

(৫) স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

(৬) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেন্ড মেটাল ডিটেক্টরের

(৭) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

(৮) শব্দ দূষন প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(৯) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

(১০) অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

(১১) আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(১২) ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শণ বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

(১৩) সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতিত মঞ্চ্যকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

(১৪) সমাবেশ শুরুর ০২ (দুই) ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

(১৫) অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১৪.০০টা হতে ১৭.০০টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

(১৬) কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না ।

(১৭) আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

(১৮) রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

(১৯) উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

(২০) কোনো ধরণের লাঠি-সোটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।

(২১) আইন-শৃংখলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

(২২) উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(২৩) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে শো-ডাউন করতে ইতোমধ্যে কয়েকবার প্রস্তুতির সভা করা হয়েছে। সমাবেশে সফল করতে যৌথসভা করা হচ্ছে। সভা থেকে ঢাকা জেলা ও আশপাশের জেলার নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সমাবেশে বড় ধরনের লোক সমাগম আনতে। একই নির্দেশনা রাজধানীর থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাদেরও দেয়া হচ্ছে বলে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।