মেসিকে বরণ করে নিল ইন্টার মিয়ামি

মেসিকে বরণ করে নিল ইন্টার মিয়ামি

সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি এখন ইন্টার মিয়ামির ফুটবলার। ইউরোপ অধ্যায় শেষে মেসির নতুন ঠিকানা এখন আমেরিকা। সেখানে মেজর লিগ সকারে নিয়মিত পারফর্ম করবেন এলএমটেন।

রোববার ডি আর ভি পিএনকে স্টেডিয়ামে ‘দ্য আনভেইলিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্টার মিয়ামি। যে অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন লিওনেল মেসি। তবে তাকে দেখতে ভক্ত-সমর্থকদের অপেক্ষা বাড়িয়েছে বাজে আবহাওয়া। ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাত হওয়ায় অনুষ্ঠান শুরু হয় দেরীতে।

আবহাওয়া পরিস্থিতি ঠিক হতেই কয়েক ঘণ্টা পর আতশবাজিতে শুরু হয় মেসিকে বরণ করে নেয়ার অনুষ্ঠান। যেখানে ছিলেন ইন্টার মিয়ামির মালিক হোর্হে মাস ও সহস্বত্বাধিকারী ডেভিড বেকহ্যামসহ আরো অনেকেই। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সপরিবারে এসেছিলেন মেসি। 

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী ফুবলার বলেন, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ সন্ধ্যা। আমাকে এভাবে স্বাগত জানানোয় মিয়ামির সবাইকে ধন্যবাদ। যেদিন থেকে এখানে এসেছি, সেদিন থেকে দারুণ ভালোবাসা পাচ্ছি। হোসে, হোর্হে এবং ডেভিডকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের কারণেই এখানে সবকিছু নিজের করে নিতে পেরেছি।’

আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডের ভাষ্য, ‘খুশি মনেই আমি এই শহরকে বেছে নিয়েছি। ভালো সময় ও দারুণ কিছু জিনিস উপভোগ নিঃসন্দেহে উপভোগ করতে যাচ্ছি। সত্যিই এখানে আমি অনুশীলন করতে চাই, এখানে জিততে চাই ও ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আশা করি, পুরো টুর্নামেন্টেই আমাদের পাশে থাকবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি সতীর্থরা নিজেদের উজাড় করে দেবে।’

মেসিকে বরণ করে নেয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে লিও ভক্তদের মাঝে আগ্রহের কমতি ছিল না। ৩৬ বছর বয়সী মেসিকে নতুন ক্লাবে কীভাবে বরণ করা হয়, তা দেখার অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন সবাই। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ক্লাবটি জানিয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য মেসির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে তারা।

লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত নর্থ আমেরিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। মেসির ছোঁয়াতেই বদলে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল, এমনটাই মনে করেন কনকাকাফ সভাপতি ভিক্টর মোন্টাগ্লিনি।

মেসির যোগদানে ইন্টার মিয়ামি কোচ টাটা মার্তিনো বলেন, ‘প্রথমত আমরা অনেক খুশি লিওনেল মেসির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে। তবে আমরা চেয়েছিলাম তার প্রেজেন্টেশনের দিনে তাকে একটা জয় উপহার দিতে। কিন্তু আমরা তা করতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি। বিশ্বসেরা একজন ফুটবলার দলে থাকা মানে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাওয়া। এখন লক্ষ্য তাকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে সঠিক সময়ে ব্যবহার করা।’