তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে রেলমন্ত্রীর দৃঢ় অঙ্গীকার

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে রেলমন্ত্রীর দৃঢ় অঙ্গীকার

সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ’ অর্জনের লক্ষ্যে যা কিছু করার দরকার তা করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

মন্ত্রী বলেন, তামাক মুক্ত দেশ অর্জনের জন্য তামাক চাষ হ্রাস করাটা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে তামাক চাষ কমে এলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তামাক চাষ হচ্ছে। এগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।প্রয়োজনে আমাদের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন করতে হলে করতে হবে।

সোমবার ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সমন্বয়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কর্ডিনেটর ইফতেখার মুহসিন রেলমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সংসদ সদস্যদের গৃহীত পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরে।

এছাড়াও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ১৫২ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত আরেকটি সুপারিশের চিঠি রেলমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর প্রতিনিধি দল তামাক আইন নিয়ন্ত্রনের চূড়ান্ত খসড়াটি কেবিনেট ডিভিশন থেকে সংসদে উত্থাপন ও পাশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে তার পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন তামাক নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে আমাদেরকে মাদক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে হবে।