বরিশালে বন্যা পরিস্থিতি : ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

বরিশালে বন্যা পরিস্থিতি : ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

সংগৃহীত

বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীর পানি আরও বেড়েছে। বুধবার আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়েছে। 

 বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের এক রিপোর্টে জানা গেছে, গতকাল ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলায় মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.২২ মিটার) ১.২ মিটার উপর দিয়ে এবং দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৭৫ মিটার) ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, হিজলা পয়েন্টে ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৫০ মিটার) ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিষখালী নদীর পানি বরগুনা পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৯৭ মিটার) ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, একই নদীর অন্য ৩ টি পয়েন্ট যথাক্রমে পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৮৫ মিটার) ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বেতাগী পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৬৮ মিটার) ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ঝালকাঠী পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৪০ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, 
পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার (১.৪৯ মিটার) ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং কঁচা নদীর পানি উমেদপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৬৫ মিটার) ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার (১.৮০ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং আমতলী পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার (২.০৭) ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.১৪ মিটার) ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার (১.৯১ মিটার) ছুয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

এদিকে বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, লোহালিয়া নদীর পানি কাটিপাড়া এলাকায় বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বাবুগঞ্জে বাবুগঞ্জ (সুগন্ধা) নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য নদীর পানিও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। হঠাৎ নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে দক্ষিনাঞ্চলে। চর ও নিম্নাঞ্চল, বির্স্তির্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কও ভরা জোয়ারের সময় তলিয়ে যাচ্ছে। পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বহু ঘেরের মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থদের একজন সদর উপজেলার চরমোনাই রাজারচর এলাকার ঘের মালিক হোসাইন আহমেদ লিটন। গতকাল দুপুরের পর আকস্মিক পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘের তলিয়ে সব মাছ বেড়িয়ে গেছে বলে তিনি জানান। 

পানি বৃদ্ধিতে মাছ এবং ফসলের ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষনিক কিছু বলতে পারেননি কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।  

অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, ভরা পূর্নিমায় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে পানি কমে যাবে বলে ধারনা করছেন তারা।