পিএসজির প্রথম ম্যাচের দলে নেই এমবাপে

পিএসজির প্রথম ম্যাচের দলে নেই এমবাপে

ফাইল ছবি।

দলে থাকবেন কি থাকবেন না- এটা এখনও অনিশ্চিত। প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) কিলিয়ান এমবাপেকে ধরে রাখার চেষ্টা করলেও এমবাপে থাকতে রাজি নন। কিংবা তার দেয়া শর্ত মেনেই তাকে রাখতে হবে। যা আবার পিএসজি ক্লাব কর্তৃপক্ষও মানতে রাজি নয়।

এমন পরিস্থিতিতে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া ফরাসী লিগ ওয়ানের নতুন মৌসুমে এমবাপে সত্যি সত্যি পিএসজিতে থাকবেন- এটা পুরোপুরি অনিশ্চিত। যে কারণে, লিগের প্রথম ম্যাচেই দল থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে তাকে।

নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই লরিয়েন্তের বিপক্ষে মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। পার্ক ডি প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। ইএসপিএন জানিয়েছে, এই ম্যাচে পিএসজির স্কোয়াডে থাকছেন না কিলিয়ান এমবাপে।

গত মৌসুমে পিএসজির যে দলটা খেলেছে, সেটা প্রায় পুরোটাই ভেঙে যেতে বসেছে। এরই মধ্যে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারও চাচ্ছেন, পিএসজি ছেড়ে দিতে। এমবাপে পিএসজি ছেড়ে যোগ দিতে চান রিয়াল মাদ্রিদে।

পিএসজি ক্রিস্টোফে গ্যালতিয়েরকে বরখাস্ত করে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে লুইস এনরিকেকে। বার্সেলোনা এবং ফ্রান্সের সাবেক এই কোচের অধীনে একদিনও অনুশীলন করেননি কিলিয়ান এমবাপে। চুক্তি সম্পর্কিত জটিলতার কারণে পিএসজির প্রথম দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেননি তিনি। অনুশীলন করেছেন পিএসজির ‘বি’ টিমের সঙ্গে।

শুধুমাত্র আজ লরিয়েন্তের বিপক্ষেই নয়, ইএসপিএন জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসে পিএসজির যতগুলো ম্যাচ আছে, সবগুলোই মিস করতে যাচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে। তুলুজ এবং লেন্সের বিপক্ষে আরও দুটি ম্যাচ এই মাসে খেলবে প্যারিসের ক্লাবটি।

এমবাপে সম্প্রতি তার ক্লাবকে জানিয়েছে, সে আর চুক্তি বাড়াতে রাজি নয় এবং ২০২৪ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভিন্ন কোনো ক্লাবে যোগ দিতে চান।

কিন্তু পিএসজি তার প্রস্তাবে রাজি নয়। তাদের ইচ্ছা, যদি এমবাপে না’ই থাকেন, তাহলে এক বছর ধরে রেখে লাভ নেই। বরং, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিক্রি করতে পারলে তাদের অ্যাকাউন্টে মোটা অংকের অর্থ যোগ হবে। যে কারণে পিএসজি চায়, তাকে বিক্রিই করতে। এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ তার জন্য ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এরই মধ্যে সৌদি ক্লাব আল হিলাল বড় অংকের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলো পিএসজির কাছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ রাজি হলেও, এমবাপে দেখাই করেননি আল হিলাল প্রতিনিধিদের সঙ্গে। যে কারণে তার সৌদিতে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।