অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্পণ্য থাকবে না : আমু

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্পণ্য থাকবে না : আমু

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্পণ্য থাকবে না : আমু

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্পণ্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘সংবিধান মেনে চলতে হবে। কথায় কথায় সংবিধান পরিবর্তনের কথা মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের অনেক কষ্ট ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ সংবিধান তৈরি করা হয়েছে।’আমির হোসেন আমু আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, আজকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কথা হচ্ছে।  বিএনপিসহ বিরোধীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই সংবিধান সমুন্নত রেখে এবং সাংবিধানিক ধারা বজায় রেখে এ দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

আমির হোসেন আমু বলেন, যদিও বিএনপি একেক সময় একেক কথা বলছে। কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, কখনো অন্তবর্তীকালীন সরকার। সে যাই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের যেকোনো শর্ত মানা হবে। কিন্তু তা হতে হবে সংবিধানের ভিত্তিতে। বিরোধীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হচ্ছে, সেটা মূলত পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা করছে। আজকে তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকার সময় গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আজকে তারা ভোটের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করছে। কিন্তু এসব নষ্ট করেছে কারা। তারাই তো করেছে। 

আমির হোসেন আমু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন বলি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য কোন পাগল ও শিশুকে ঠিক করেছেন ? নির্বাচনে তারা হেরে গিয়ে এখন বয়কটের রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের আন্দোলনের মূল কারণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়, বরং দেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ  বড়ুয়ার সভাপতিত্বে  অলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে  সিকদার,  গনতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টি জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাদেক সিদ্দিকী, সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরো  সদস্য লুৎফর রহমান, তরিকত ফেডারেশন যুগ্ম মহাসচিব  মুহাম্মদ আলী ফারুকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র  : বাসস