সৌদি সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত: এইচআরডব্লিউ

সৌদি সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত: এইচআরডব্লিউ

সংগৃহীত

সৌদি আরবের সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেন সীমান্তে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) সোমবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ইথিওপিয়ান অভিবাসনপ্রত্যাশী যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন পাড়ি দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন, তাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বিবিসিকে বলেছেন, গুলির আঘাতে আমাদের অনেকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা অনেকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।

সৌদি আরব এ হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে (এইচআরডব্লিউ) ভুক্তভোগী অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে থাকা ইয়েমেনের উত্তর সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছে সৌদি পুলিশ। কখনও কখনও বিস্ফোরক অস্ত্র দিয়ে তাদের টার্গেটে পরিণত করেছে।

বিবিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সীমান্ত অতিক্রম করার ভয়ংকর রাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় অনেক নারী এবং শিশুসহ ইথিওপিয়ানদের একটি বড় দল আগুনের শিকার হয়েছিল।

২১ বছর বয়সী মোস্তফা সুফিয়া মোহাম্মদ বিবিসিকে বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে সীমান্ত পেরিয়ে লুকিয়ে ঢোকার চেষ্টা করার সময় তাদের ৪৫ জনের মধ্যে কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমি লক্ষ্যও করিনি যে আমাকে গুলি করা হয়েছে। আমি যখন উঠে হাঁটার চেষ্টা করি তখন আমার পায়ের একটি অংশ আমার সঙ্গে ছিল না।

একটি ভিডিওতে দেখা যায় মোস্তফার বাম পা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার পা হাঁটুর নিচে কেটে ফেলা হয়েছিল। তিনি এখন ইথিওপিয়াতে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। তিনি ক্রাচ এবং একটি কৃত্রিম পা নিয়ে হাঁটছেন।

দুই সন্তানের বাবা মোস্তফা বলেন, আমি সৌদি আরবে গিয়েছিলাম কারণ আমি আমার পরিবারের জীবনকে উন্নত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি যা আশা করেছিলাম তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন আমার বাবা-মা আমার জন্য সবকিছু করেন।