ধামরাইয়ে খাবার খাওয়ার ১৫ মিনিটেই মারা গেল ফার্মের ১১ গরু

ঢাকার ধমরাইয়ে বালিয়া কাজীপাড়া এলাকার ববালিয়া এগ্রো ফার্মের গরুকে সকালে খাবার দেয়া হয়। এ খাবার খেয়ে ১৫ মিনিটের মাথায় ১১টি গরু মারা যায়। আর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আরোও ৫টি গরু। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ১১টি গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খান।

খামারের মালিক সাংবাদিকদের জানান, সকালে খাবার দেয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলির মৃত্যুের কুলে ঢলে পড়ে । আমরা গত দুইবছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমাণ মতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত দেখা গেছে। তিনি আরও জানান, ১১টি গরুর মধ্যে ৩টি ষাঁড়,আর বাকীগুলো বকনা ও গর্ভবতী গরু। যার মূল্য হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৭ টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দেই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিলো। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। এর পরই গরুগুলো মারা যাওয়ার খবর পাই।

এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জামান জানান, আমি কেবলই জানতে পারলাম, আমি এবং ভেটারেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কো-অর্ডিনেশন মিটিং এ আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপসহকারী যাচ্ছে ওখানে কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করতেছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে, বর্ষাকালীন সময়ে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এর কারণে একসাথে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানান তিনি।