‘অস্ত্র মজুদ করছে বিএনপি’

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রদল নেতারা অস্ত্র মজুদ করতে শুরু করেছে। আর মির্জা ফখরুলসহ নেতারা সিঙ্গাপুর গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে ছাত্রদলের ছয়জন নেতা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। গত সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আরেকজন নেতার কাছ থেকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। কিসের কারণে তারা এসব অস্ত্র মজুদ করছে? অপরদিকে, সিঙ্গাপুরে বসে মির্জা ফখরুল ও লাদেন রহমান (তারেক রহমান) জোটবেঁধে ষড়যন্ত্র করছে। বিষধর সাপকে বিশ্বাস করা গেলেও বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, বিএনপির এক নেতা বলেছেন- ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। এরপরে সেপ্টেম্বর মাসে সময় দিয়েছেন, এখন অক্টোবরের কথা বলছেন। কিন্তু গত সাড়ে চৌদ্দ বছরেও বিএনপির আন্দোলনে সফল হয়নি।

নানক বলেন, আগামী নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। নির্বাচনে আসবেন কী আসবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। তবে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। আর নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে এর জবাব রাজপথে দেওয়া হবে।

নানক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে আগামী নির্বাচনেও সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, আসলে তারা চায় কী? সুষ্ঠু নির্বাচন, নাকি শেখ হাসিনার পতন? যদি ষড়যন্ত্র করে, আগুন সন্ত্রাস করে, তাহলে ৭১ যেভাবে যুদ্ধ করেছিলাম, খালেদা-নিজামী সরকারকে প্রতিরোধ করেছিলাম, স্বৈর শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম, একইভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে যুদ্ধ হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এখনো শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে- সব ষড়যন্ত্রের প্রতিরোধ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনা। তাই নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

নির্বাচনের আগে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাগর আহম্মেদ শামীম।

এসময় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।