বিএনপি গণতান্ত্রিক চেতনায় গণমানুষের দল : মির্জা ফখরুল

বিএনপি গণতান্ত্রিক চেতনায় গণমানুষের দল : মির্জা ফখরুল

বিএনপি গণতান্ত্রিক চেতনায় গণমানুষের দল : মির্জা ফখরুল

বিএনপি গণতান্ত্রিক চেতনায় গণমানুষের দল জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার বিএনপি’র সকল নেতাকর্মী অন্তরে ধারণ করে।বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ থেকে ৪৫ বছর আগে দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এদেশের মানুষকে একদলীয় দুঃশাসনের যাঁতাকল থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। আমি তার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘বারবার দেশ ও গণতন্ত্রের সঙ্কটকালে অসীম সাহসিকতার সাথে জুলুম-নির্যাতনকে সহ্য করেও দুর্বার আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আমি সেই অদম্য সাহসের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই দিনে দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত যে সকল নেতৃবৃন্দ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতিও জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত যে সকল নেতাকর্মী আত্মদান করেছেন তাদের প্রতিও জানাই আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই শুভ দিনে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক চেতনায় গণমানুষের দল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার বিএনপি’র সকল নেতাকর্মী অন্তরে ধারণ করে। বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহান দিনে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দলকে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রে মনে-প্রাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘বর্তমান দুঃসময়ে জনগণকে সংগঠিত করার কোনো বিকল্প নেই। দেশ আজ দুঃশাসনকবলিত। গুম-খুনের আতঙ্ক মানুষের নিত্যসঙ্গী। আইন, বিচার, প্রশাসন সবকিছুই সরকারি কব্জার মধ্যে। বিরোধী দল দমন করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনি কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে সমাজে দেখা দিয়েছে বিপজ্জনক বিশৃঙ্খলা। খুন-খারাবী, নারী-শিশু নির্যাতন, অপহরণ, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি অনাচারের মাত্রা উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সরকার যেখানে জনগণের প্রতিপক্ষ সেখানে মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা থাকতে পারে না। সুতরাং জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্যই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে,’ বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে এবং মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে হয়রানির খড়গ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ‘গণতন্ত্রের মা’ এবং জনগণের নাগরিক ও বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষের প্রধান কণ্ঠস্বর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সকলকে একযোগে রাজপথে নামতে হবে। পাশাপাশি দেশের বর্তমান ক্রান্তিকাল অতিক্রমের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে দেশবাসীকে বিএনপি’র পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।