বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন : সিয়েরা লিওনে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা

বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন : সিয়েরা লিওনে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা

ফাইল ছবি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সম্মুন্নত রাখার জন্য নানান উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এর মধ্যে ভিসানীতি অন্যতম। তবে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়। বর্তমান বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারাবিশ্বের যে সব দেশে গণতান্ত্রিক সরকার নেই সেসব দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। সে চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার সিয়েরা লিওনে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কারণে এই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল ছাড়াই সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচন বিরোধী শিবির প্রত্যাখ্যান করে।

জানা যায়, পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ সিয়েরা লিওনে। সিয়েরা লিওনের সাংবিধানিক নাম সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র। ভূ-রাজনৈতিকভাবে সিয়েরা লিওনের উত্তর সীমান্তে গিনি, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে লাইবেরিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের দিকে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। সিয়েরা লিওনের বৃক্ষহীন তৃণভূমি অঞ্চল থেকে রেইনফরেস্ট পর্যন্ত একটি বিচিত্র পরিবেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু বিদ্যমান।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল করার অভিযোগে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

চলতি বছরের জুনে সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৫৬ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জুলিয়াস মাদা বায়ো। যদিও প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনের এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, সিয়েরা লিওনসহ সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে সহায়তা ও এগিয়ে নিয়ে যেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৩ সালের জুনে সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল করার দায়ে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় দেশটির জন্য একটি নতুন ভিসা বিধিনিষেধ নীতি ঘোষণা করছি।

নতুন এই নীতির আওতায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপিসহ সিয়েরা লিওনে গণতন্ত্র দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে হুমকি বা সহিংসতার মাধ্যমে ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা সুশীল সমাজের সংগঠনকে ভয় দেখানো সিয়েরা লিওন সম্পর্কিত মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন।

এ শ্রেণির ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারেন। এমনকি সিয়েরা লিওনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল করে যারা ২০২৩ সালের নির্বাচনের নেতৃত্বে আসবে তারাও এই মার্কিন ভিসানীতির আওতায় অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।