সুকুক বন্ডের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করলো আরএফএল

সুকুক বন্ডের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করলো আরএফএল

সংগৃহিত ছবি।

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ আরএফএলের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড (বিবিএমএল) দেশের দ্বিতীয় করপোরেট সুকুক ইস্যু করার মাধ্যমে সফলভাবে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। সুকুকটি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যাংকগুলোতে ইস্যু করা হয়েছিল, যেখানে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল অ্যারেঞ্জার এবং ইস্যু উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছে।

সুকুক বন্ডটি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যাংক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। সুকুক থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিবিএমএল তাদের বিদ্যমান মেশিনারিজে পুনঃঅর্থায়ন এবং নতুন মেশিনারিজ সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করবে।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে সুকুকের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

 

বিএসইসি চেয়ারম্যান সফলভাবে তহবিল সংগ্রহের জন্য বিবিএমএলকে অভিনন্দন জানান এবং দেশের অবকাঠামোর উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য নির্দিষ্ট আয়ের সিকিউরিটিজ এবং ইসলামিক উপকরণগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, সুকুক বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে সফলভাবে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি আমাদের পণ্য ও পরিষেবার যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সেটা প্রমাণ করে। আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রয়েছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগকারী, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল এবং এ বন্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন বলেন, দ্বিতীয় করপোরেট সুকুকের অ্যারেঞ্জার এবং ইস্যু উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং বন্ডটির সফলতায় ভূমিকা পালন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে সুকুকের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে আরও কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

অনুষ্ঠানে বিবিএমএল সুকুক আল-ইজারা শরীয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফ্যাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, বিনিয়োগকারী, বিএসইসি, বিবিএমএল এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।