শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করল মাদরাসা শিক্ষক

হোম ওয়ার্ক না করায় আফান রহমান ফারাহান নামের সাত বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে এক মাদরাসা শিক্ষক। শিশুকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চর-যাদবপুর গ্রামের দারুল আকরাম নূরানি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সজিবের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর বড় ভাই হাফিজ।

হাফিজ বলেন, আমার ভাই ওই মাদরাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্র। হোম ওয়ার্ক করে না করায় শিক্ষক সজিব বেত দিয়ে আমার ভাইকে বেধড়ক মারধর করেছে। ভাইকে চিকিৎসা দিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

তিনি আরও বলেন, সকালে আমার মা মাদরাসায় গেলে সেখানের ছাত্ররা জানান ফারাহানকে বেধড়ক মারধর করেছে। এসময় সে মুত্রত্যাগও করে ফেলে। বাড়িতে নিয়ে আসার পর গোসলের সময় তার পিঠে মারধরের চিহ্ন দেখে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। হোমওয়ার্কের জন্য মারধর করেন শিক্ষকরা।

তবে অমানবিকভাবে তাকে মারধর করা হয়েছে। এটা অন্যায়। আমরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, হোমওয়ার্ক না করায় শিক্ষক একটু বেশিই মারধর করেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।