পাহাড় অক্ষুণ্ন রেখেই নির্মাণ করা হবে বার্ন ইউনিট

পাহাড় অক্ষুণ্ন রেখেই নির্মাণ করা হবে বার্ন ইউনিট

সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সংলগ্ন গোয়াচি বাগান এলাকায় নির্মাণাধীন বার্ন ইউনিট বিদ্যমান পাহাড় অক্ষুণ্ন রেখেই নির্মাণ করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এ আশ্বাস দেন। বৈঠকে পরিবেশ কর্মীদের পক্ষ থেকে পাহাড় রক্ষায় হাইকোর্টের আদেশের একটি কপি চমেক হাসপাতাল পরিচালককে হস্তান্তর করা হয়।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, পাহাড় অক্ষুণ্ন রেখেই বার্ন ইউনিট নির্মাণ করা হবে। পাহাড়ের কেটে ফেলা অংশের পাশে রিটেইনিং ওয়াল দিয়ে গাছ লাগানো হবে। কেটে ফেলা গাছের শেকড় উৎপাটন করা হবে না। তাছাড়া, গোয়াছি বাগান এলাকা থেকে কোনো ধরনের মাটি অপসারণ করা হবে না। ইতিমধ্যে সেখানে দুই হাজারের অধিক দেশীয় গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। পাহাড়ের গোড়ায় গাইড ওয়াল নির্মাণ করেই বার্ন ইউনিটের কাজটি শুরু হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেলা চট্টগ্রাম অফিস সমন্বয়কারী মনিরা পারভিন রুবা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক স. ম বখতেয়ার, বেলার নেটওয়ার্কিং মেম্বার সিনিয়র সাংবাদিক আলীউর রহমান, পরিবেশ সংগঠক মারুফ হাসান রুমি, গ্রিন ফিংগার কো-ফাউন্ডার রিতু পারভিন ও বেলার কর্মকর্তা ফারমিন এলাহি ইরা।

বৈঠকের আগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, গ্রিন ফিংগার্স ও ভোরের আলো নামের পাঁচটি সংগঠনের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা বলেন, এক সময় চট্টগ্রাম মহানগরী পাহাড়ের সৌন্দর্যে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষিত করতো। কিন্তু এখন সেই চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নগরীতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পরে নগরীর ৬০ শতাংশ পাহাড় কাটা হয়ে গেছে। বাকি ৪০ শতাংশেও পড়ছে কোদালের আঘাত। এই অবস্থা বন্ধ করা না হলে একটি পাহাড়ও অবশিষ্ট থাকবে না।