করোনা সত্য মিথ্যা!

করোনা সত্য মিথ্যা!

ছবিঃ সংগৃহীত

ড. খন্দকার মিরাজ রহমান
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম বৈজ্ঞানিক গবেষনা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান এর ব্যাপারে হাস্যকর রকম দুর্বল। এর ফলে মাঝেমাঝেই বিভিন্ন উদ্ভট দাবি, হাতুড়ে জ্ঞান, প্রতারণামূলক দাবি এবং কিছু ক্ষেত্রে আকাশ কুসুম চিন্তা ভাবনাকে বৈজ্ঞানিক গবেষনা হিসাবে পত্র পত্রিকা ও টেলিভিশনে ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। এটি মিডিয়ার বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের দীনতার ফল যার ফলে সংশ্লিষ্ট সম্পাদক যাচাই বাছাই না করেই এগুলিকে সত্য হিসাবে প্রকাশ করেন। করোনাভাইরাস নিয়ে খবরের ব্যাপারে যেহেতু মানুষের আগ্রহ আছে, সেজন্য এই ব্যাপারে অর্ধসত্য ও কিছু ক্ষেত্রে একেবারেই আজগুবি সংবাদ প্রকাশের ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে। এই সব অপ সংবাদ বিশেষ করে করোনাভাইরাস চিকিৎসার বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশের ফলে বিভ্রান্ত সাধারন মানুষ অনেক ক্ষেত্রে মারাত্বক বিপদে পড়ছেন যার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছেনা যদিও এটি মিডিয়ার উপর বর্তায়। উন্নত দেশে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে যার ফলে তারা অনেক দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। আমাদের মিডিয়ার জ্ঞান ও পেশাদারিত্ব দুটিরই অভাব আছে। এর ফলে জেনোম সিকোয়েন্সের সাথে আলাদা ভ্যাক্সিন, এলকোহল বাস্প দিয়ে করোনাভাইরাস চিকিত্সা কিংবা সম্প্রতি ইভেরমেকটিন দিয়ে কভিড-১৯ এর চিকিত্সার কথা ফলাও করে প্রকাশ হচ্ছে। মিডিয়ার এই দুর্বলতা সাধারন মানুষকে ভয়াবহ ঝুকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে মানুষের ভোগান্তি বা মৃত্যু হলে তার দায় কে নিবে?  

লেখক
কিংস কলেজ, লন্ডন
-সংগৃহীত