মাদারীপুরে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

মাদারীপুরে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

সংগৃহীত

মাদারীপুরে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে চারদিন আটকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বখাটের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার এলাকার মাতব্বরের কাছে বিচার চাইলে ভয়ভীতি আর হুমকি দেওয়া হয়। এতে পরিবারটি মাঝে কাজ করছে ভয় আর আতঙ্ক। যদিও পুলিশ বলছে, লিখিত অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে আইনী ব্যবস্থা।

স্বজনদের অভিযোগ, গত ২৮ আগস্ট দুপুরে ফোন করে ওই কিশোরীকে ডেকে নেয় মাদারীপুরের শিবচরের সন্ন্যাসীরচরের রুহুল আমিনের ছেলে রাতুল। পরে বাখরেরকান্দি এলাকার একটি ঘরে আটকে রেখে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানতে পারলে ৩১ আগস্ট রাতে নির্যাতিতাকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় রাতুলের পরিবারের লোকজন। এরপর এলাকার মাদবরদের বিষয়টি জানালে মেয়েটির পরিবারকে দফায় দফায় হুমকি দেয়া হয়। এতে আতঙ্কে নির্যাতিতার পরিবার। অসুস্থ হয়ে পড়লে নির্যাতিতাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে, পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

মেয়েটির বাবা বলেন, পুরো ঘটনায় রাতুলের চাচা খায়রুল আমিন সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। মেয়েটির ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে তারা। থানায় গিয়েছিলাম সেখান থেকে কোন পাত্তা দেয়নি, এলাকার মাদবররাও এর বিচার করেনি। গরীব মানুষের কি কোথায়ও বিচার নেই।

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ওই মেয়েটিকে ভর্তি করে দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাইনী চিকিৎসক তার পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হতে পারে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান জানান, মেয়েটির বাবাকে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।