আখাউড়া বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেল ৩২২৫ কেজি ইলিশ

আখাউড়া বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেল ৩২২৫ কেজি ইলিশ

সংগৃহীত

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে তিন হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ মাছ। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনটি পিকআপে করে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এসব মাছ রপ্তানি করা হয়। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার।

এর আগে বুধবার ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠান এ অনুমতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাছগুলো রপ্তানি করে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রিপা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল মেসার্স প্রীতম এন্টারপ্রাইজ।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মের্সাস প্রিতম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, পূজা উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ৭৯টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। এরই আলোকে এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি করা হলো।

সূত্র আরও জানায়, দেশে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বংলাদেশ সরকার। তবে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক বাড়াতে গত দুই দুর্গাপূজায় ভারতের ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও ত্রিপুরায় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন।