টাঙ্গাইলে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত লাকী বিড়ি, সিয়াম বি‌ড়ি ও মো‌হিনী বিড়ি জব্দ

টাঙ্গাইলে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত লাকী বিড়ি, সিয়াম বি‌ড়ি ও মো‌হিনী বিড়ি জব্দ

ছবি: প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের স‌খিপুর উপজেলার বড় চাওনা বাজারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত লাকী বিড়ি, সিয়াম বি‌ড়ি ও মো‌হিনী বিড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করেন।  

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন বাজারে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি বিক্রি ও মজুদ করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস টিম জেলার সখিপুর উপজেলার বড় চাওনা বাজারে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। অভিযানকালে বাজার থেকে লাকী বিড়ির এসআর এর নিকট থেকে ত্রিশ  হাজার (৩০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত লাকী বিড়ি জব্দ করা হয়। এসময় তার মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

পরে বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় টাঙ্গাইল কাস্টমস কর্মকর্তারা। এসময় বাজারের দশটি দোকান থেকে সত্তর হাজার (৭০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সিয়াম বি‌ড়ি ও মো‌হিনী বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযান থেকে সর্বমোট এক লক্ষ (১,০০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়।

অভিযান চলাকালে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে আর নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ কমদামি বিড়ি বিক্রি ও মজুদ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

রাজস্ব কর্মকর্তা রতন কুমার জানান, নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে এসব বিড়ির কোম্পানিগুলো দৈনিক বিপুল পরিমান টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন বাজারে বিপুল পরিমান অবৈধ বিড়ি বিক্রি ও মজুদ রয়েছে। এতে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে। এসব অবৈধ বিড়ির বিরুদ্ধে র‌্যাব, পুলিশ এবং কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অভিযান ও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।