তিস্তার উপর দুটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প চালাতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি

তিস্তার উপর দুটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প চালাতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি

তিস্তার উপর দুটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প চালাতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি

তিস্তার হড়পা বান কার্যত তছনছ করে দিয়েছে ভারতের উত্তর সিকিমকে। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির রেশ থেকে বের হতে পারেননি অনেকেই। সেই পরিস্থিতিতে এবার গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তিস্তার উপর দুটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প চালাতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জিটিএ।

জিটিএ’র প্রধান নির্বাহী অনীত থাপা জানিয়েছেন, ‘আমরা তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট-৩ যেটা রিয়াংয়ে রয়েছে আর তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট-৪ যেটা কালীঝোড়াতে রয়েছে সেটা আমরা চালাতে দেব না। ন্যাশানাল হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশনকে আগে স্থানীয় বিষয়টি বুঝতে হবে। এগুলো করার আগে পাড় বাঁধাইয়ের ব্যাপারটি করতে হবে। তারপর এটা চালাতে হবে।’

১৩২ মেগাওয়াটের তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট-৩ ও ১৬০ মেগাওয়াটের তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট-৪ দুটোই তিস্তা নদীর উপর। স্থানীয়রা আগে থেকেই এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

তিস্তা নদী খাংচুং ছো নামে একটি হিমবাহ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম সিকিমে অবস্থিত। এরপর এটি সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের চার জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে গেছে।

অনীত থাপা জানিয়েছেন, ‘বন্যার জেরে দার্জিলিং আর কালিম্পংয়ে তিস্তার পানি সমতলের উচ্চতা বেড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত আতঙ্কের। এনএইচপিসি’র বাঁধ দেয়া দরকার। তারা এই সমস্যা যতক্ষণ না সমাধান করছে ততক্ষণ আমরা এই প্রকল্পের কাজ করতে দেব না।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার কালিম্পংয়ে এই বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটা প্রশাসনিক বৈঠক হয়। এরপরই এনিয়ে মুখ খোলেন অনীত থাপা।

গত ৪ অক্টোবর তিস্তার হড়পা বান উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাসিয়ে দেয়। চুংথাং এলাকায় তিস্তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে। এ বানের জেরে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়।

কালিম্পং জেলার কিছু অংশ যেমন রংপো, তারখোলা, মেল্লি, তিস্তা বাজার, গেলখোলা, ২৯ মাইল, রিয়াংয়েও কিছু ক্ষতি হয়েছে।এদিকে, তিস্তার বুকে পলি জমে নদীর উচ্চতা বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে এরপর কোনোদিন পানি বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যাবে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস