ঢাকা অবরোধের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের ​

ঢাকা অবরোধের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের ​

ঢাকা অবরোধের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের ​

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবারো ডিসেম্বরের মত সরকার পতনের স্বপ্নে বিভোর। তারা ঢাকা অবরোধের দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের এক দফা, ৩২ দল, আন্দোলন সবই ভুয়া, বিএনপি নিজেই ভুয়া।

​তিনি বলেন, ১৮ তারিখের সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। ঢাকার হোটেলগুলোতে কোনো সিট খালি নেই। সেই ডিসেম্বরের মতো সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছেন মির্জা ফখরুল। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা অবরোধ করার ষড়যন্ত্র করছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, খেলা হবে, ছাড় দেবো না ফখরুল। ডিসেম্বরের চেয়েও কড়া খেলা হবে। আওয়ামী লীগের অ্যাকশন, যুবলীগের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন।

তিনি বলেন, এখন চলে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। আগামী মাসে সেমি ফাইনাল আর জানুয়ারি মাসে হবে ফাইনাল খেলা। খেলা হবে ভোট চোরদের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাট ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে।

কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ১৮ তারিখ সবাই আমরা জমায়েত হব। বিএনপি চুরি করে প্রবেশ করছে। আমরা কি বসে বসে ললিপপ খাব? যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সবাই প্রস্তুত আছি। এবার অবরোধ করলে বিএনপিই অবরোধ হয়ে যাবে। পালাবার পথ পাবে না। শেখ হাসিনা কারো কাছে মাথা নত করেন না। আল্লাহ ছাড়া তিনি কাউকে ভয় পান না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল হাওয়া থেকে পাওয়া আজগুবি খবর ছড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি নাকি পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আছে, তাদের নাকি সাহস যোগাচ্ছে। অথচ সত্য-মিথ্যা আমরা কেউ জানি না। পশ্চিমারা বলেছে, নির্বাচনে তারা কোনো দলকে সমর্থন করে না। মির্জা ফখরুল আর কত মিথ্যা বলবেন। গতবার টাকার বস্তা নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন, সেই আন্দোলন সফল হয়নি। আন্দোলন গোলাপবাগ মাঠের গর্তে চলে গেছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের সমর্থন থেকে সাহস পাচ্ছি। জনগণ যতক্ষণ সাথে আছে, ততক্ষণ ভয় নেই। আমরা ন্যায় ও নীতির পক্ষে আছি।

আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ করার ঘোষণা রয়েছে। একই দিন আওয়ামী লীগও ঢাকায় জমায়েত করবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।