দেশে ফিটনেসহীন গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখের বেশি

দেশে ফিটনেসহীন গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখের বেশি

ছবিঃ সংগৃহীত।

দেশে পাঁচ লাখেরও বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসহীন গাড়ি রয়েছে। তবে এর ৩০ ভাগ সড়কে চলাচল করে না। এ ছাড়া অধিকাংশ চালক উচ্চ রক্তচাপ ও চোখের কন্ট্রাক্ট সমস্যায় ভুগছেন। ফলে সড়কে ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে এ তথ্য।

 

মঙ্গলবার নগরীর বিআরটিএ ভবনে নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে পাঁচ লাখের বেশি ফিটনেসবিহীন যানবাহন রয়েছে। তবে এসব বাহনের মধ্যে ৩০ শতাংশ রাস্তায় চলে না। যেগুলো চলে, সেগুলোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি রাস্তা উন্নত হওয়ায় ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওভার স্পিডের কারণেও দুর্ঘটনা বাড়ছে।’

 

বিভিন্ন সংগঠন দুর্ঘটনার যে তথ্য সংগ্রহ করছে, এতে গরমিল হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার তথ্য এখন নিজেরা ওয়েবসাইটে দিচ্ছি। এখন আমরা বছরখানেক ধরে রিয়েল ডাটা কালেকশন করছি। বিশ্বব্যাংকের রোড সেইফটি প্রজেক্টও চলছে।’

সড়কে তদারকিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যাও ‘যথেষ্ট নয়’ বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘তাদের টার্গেট দেওয়া হয়েছে মামলার বিষয়ে, একই সঙ্গে ছয় বিভাগীয় শহরে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত হবে। ওভার স্পিড, দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অপরাধে চালকদের মার্কিংয়ে ডি-মেরিট পয়েন্ট যোগ করা শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও বিআরটিএ’র পেশাদার চালকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চালকদের চক্ষু, রক্তচাপ ও র‌্যান্ডম ব্লাড সুগার পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।’

 

তিনি জানান, এতে দেখা গেছে, অধিকাংশ চালক উচ্চ রক্তচাপ ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। ফলে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক চালকের চোখের কন্ট্রাক্ট সমস্যাও পাওয়া গেছে।

২৪৯ জন চালকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ৪৭ জনের রক্তচাপ সমস্যা পাওয়া যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্লাড সুগারের সমস্যা পাওয়া যায় ৬৯ জনের, ধূমপানজনিত সমস্যা পাওয়া যায় ১০৯ জনের। এ ছাড়া, ২৮৯ জন চালকের চক্ষু পরীক্ষায় চোখের ভিশনে সমস্যা পাওয়া যায় ১৬৪ জনের, অন্যান্য চোখের সমস্যা পাওয়া যায় ৫৯ জনের এবং চোখের কন্ট্রাক্ট সমস্যা পাওয়া যায় আটজনের।’

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় সড়ক নিরাপদ দিবস উপলক্ষে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষা ভবন হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত, মৎস্য ভবন মোড়, ফার্মগেট থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত, সার্ক ফোয়ারা, শেরাটন মোড়, বিজয় সরণি মোড় থেকে হেলিকপ্টার মোড়, তেজগাঁও ফ্লাইওভার থেকে সওজ ভবন পর্যন্ত সাজানো হবে।’

এ ছাড়া সাতরাস্তার মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত, হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারা, মতিঝিলের শাপলা ও বলাকা চত্বর, মেট্রো রেলের দিয়াবাড়ি থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত মূল রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলো, ফুটওভার ব্রিজ, সব স্টেশন, ইন্টারসেকশন, গোলচত্বর ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাস টার্মিনালে জনসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ ও ব্যানার প্রদর্শন করা হবে।