রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

সংগৃহীত

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এরইমধ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দল ও জোটগুলোও পাঁচটি সমাবেশ করবে।

এমন পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, এমন শঙ্কায় রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পুলিশের আর্মাড ভেহিক্যাল, এসকর্ট ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান এপিসি, জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

ডিএমপি জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সাদা পোশাকে কাজ করছে গোয়েন্দা সদস্যরা।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করতে গিয়ে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে, হামলায় জড়ায়, বেআইনি কার্যকলাপ করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে, একইদিন দুপুর আড়াইটায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দেশের প্রধান দুই দলের সমাবেশ একইদিনে হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।

বিশেষ করে নিউ মার্কেট, বাংলামটর, শাহবাগ, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, বাড্ডা, নতুন বাজার, হাতিরঝিল এবং রামপুরা এলাকায় গাড়ি ধীগতিতে চলতে দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়িগুলোকে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমতিয়াজ বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় যান চলাচল ধীরগতিতে চলছে। ফলে জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।