গাজায় জ্বালানি প্রবেশ করবে না : ইসরাইল

গাজায় জ্বালানি প্রবেশ করবে না : ইসরাইল

গাজায় জ্বালানি প্রবেশ করবে না : ইসরাইল

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি।

তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় শুধুমাত্র খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এছাড়া কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।শনিবার (২১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার পর ত্রাণ বিষয়ে হাগারি এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এ ক্রসিং দিয়ে কেবল খাদ্য, পানীয় ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়া হবে। কিন্তু কোনো জ্বালানিবাহী বাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।ইসরাইল সফর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন গাজায় প্রাথমিকভাবে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক যেতে পারবে জানালেও এ সহায়তা একেবারেই অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গাজাবাসীর জন্য এখন অন্তত দুই হাজার ট্রাক ত্রাণ সহায়তা দরকার। সেখানে মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণকে ‘সমুদ্রে এক ফোটা পানির’ সাথে তুলনা করেন তারা।জাতিসঙ্ঘ গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছে।জাতিসঙ্ঘ আরো জানায়, গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সেখানে প্রতিদিনই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে 'অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম' শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে শিশুই রয়েছে ১৬০০’র বেশি।

সূত্র : আল-জাজিরা