বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশের বাধা

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশের বাধা

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশের বাধা

বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল রাজপথে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের ব্যানারে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে আসার পর পুলিশ গেট আটকে আইনজীবীদের প্রধান সড়কে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে বিএনপিপন্ত্রী শতাধিক আইনজীবী অবরোধের সমর্থনে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মাজার গেটে পৌঁছে। বেলা দেড়টার দিকে আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে মাজার গেট দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ।

জানা গেছে, এ সময় বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মাজার গেটের সামনে এসে আইনজীবীদের আটকে রাখে। বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতাদের সাথে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। প্রায় ২০ মিনিট আইনজীবীরা মাজার গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়। বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ আইনজীবী নেতারা তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা না দেয়ার অনুরোধ জানান। তবে গেট আটকে পুলিশ তাদের অবস্থানে অনড় থাকে। বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে যায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আইনজীবী মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব, ফ্রন্টের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের কো-কনভেনর মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী আবেদ রাজা, মো: মাহবুবুর রহমান খান প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং এই স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজকের এই অবরোধ। অবরোধে পুলিশের গুলিতে আমার ভাই নিহত হয়েছে, রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, সারাদেশে মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই প্রশাসন দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের ঘটনা এবং আজকের এই পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী। যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে তারা সন্ত্রাসী। তাদের সাথে পুলিশ ছিল। সরকার টিকতে পারবে না। তাদের পদত্যাগ করতে হবে। অবিলম্বে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।’

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার জন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আইনজীবী ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো দেশের সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা।’

সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ‘অবৈধ সরকারের পুলিশ বাহিনী ১৪৪ ধারা না থাকা সত্ত্বেও আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সারাদেশের জনতার যে অবরোধ হচ্ছে। এই অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবী জনতার আন্দোলন চলছে, চলবে।’