বিশ্বে পানির সংকট সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়: জাতিসংঘ

বিশ্বে পানির সংকট সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়: জাতিসংঘ

ছবিঃ সংগৃহীত।

জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে তীব্র পানি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এসব অঞ্চলে আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক শিশু তীব্র পানি সংকটে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়েচে ভেলে।

 

এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি সংখ্যক শিশু পানির তীব্র সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পর পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলো রয়েছে। ওই অঞ্চলে ১৩ কোটি শিশু পানির সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ বছরের কম বয়সী ৩৪ দশমিক ৭ কোটি শিশু ব্যাপক বা অতি ব্যাপক পানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এটি সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের অন্য সব অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে গঠিত আট-দেশীয় এই অঞ্চলে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশু রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের আবহাওয়ার ধরণ পরিবর্তন হয়েছে, যা বৃষ্টিপাতকে চরমভাবে ব্যাহত করছে। ফলে এই অঞ্চলে পানির ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে।

ইউনিসেফ বলছে, এই ধরনের সংকট বেশ দ্রুত বড় হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গ্রামের জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ঘরবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্কুল সবই পানির অভাবে পড়ছে। জলবায়ুর ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় পানির ঘাটতি আর বাড়বে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। 

দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিসেফের প্রধান সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেছেন, নিরাপদ পানি পাওয়ার বিষয়টি মৌলিক মানবাধিকার। তবুও দক্ষিণ এশিয়ার লক্ষাধিক শিশু পর্যাপ্ত পানির অভাবে ভুগছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার কারণে সুপেয় পানির পরিমাণ ক্রমেই কমে যাচ্ছে।