ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল দেখবেন বেকহ্যাম

ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল দেখবেন বেকহ্যাম

ডেভিড বেকহ্যাম

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ায় রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের ম্যাচ নিয়েই ভারতীয়দের আগ্রহ বেশি। বেশ কষ্ট করেই সেমিফাইনালে উঠতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডকে। অন্যদিকে দারুণ ছন্দে রয়েছে ভারত। বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে প্রায় সব অঙ্গনের তারকারা আসবেন। তারাদের এ মেলায় থাকবেন একজন ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামও।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের প্রতিশোধ দেখার আশায় স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় পুর্ন থাকবে। 

বেকহ্যামের ভারত সফরের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে ইউনিসেফ ইন্ডিয়া। তারা লিখেছে, ‘ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ডেভিড বেকহামকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

জাতিসংঘের জরুরি শিশু তহবিল ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন শচীন টেন্ডুলকার। রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ ফুটবলার বেকহ্যামও ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত ২০০৫ সাল থেকে। টেন্ডুলকারের মতো বেকহামও ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত।

ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদুত হিসেবে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন বেকহ্যাম। ক্রিকেটের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করতে ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে আইসিসি। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ইউনিসেফের টি–শার্ট পরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন টেন্ডুলকার। সেই কাজের অংশ হিসেবে এবার বেকহামও যোগ দিচ্ছেন।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে স্বাগতিক ভারত। ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বের নয় ম্যাচের সবকটিতে জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষদল হিসেবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটি।

অপরদিকে বিশ্বকাপের টানা পঞ্চম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত শুরুর পর মাঝে ছন্দপতন হলেও কিউইরা ফিরেছে ট্র্যাকে। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলছেন রাচিন রবীন্দ্র। সেমিতেও তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে দল। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামনসনও ফিট হয়ে ফিরেছেন, পাচ্ছেন রানের দেখা। সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক। তবে দুই ফাইনালে শিরোপা হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না।

এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। অপরদিকে ১৯৮৩ এবং ২০১১ সালের টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে সক্ষম হয় ভারত। অবশ্য দুই ফাইনালেই জয় নিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারতীয়রা। সর্বকালের সেরা ফর্মে থাকা ভারতের সঙ্গে বিপরীতমুখী  নিউজিল্যান্ডের আসন্ন ম্যাচটি উত্তেজনাপূর্ন হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।