বৈষম্যের প্রতিবাদে ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বৈষম্যের প্রতিবাদে ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সংগৃহীত

গত ২ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) প্রকাশিত অষ্টাদশ নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। সেখানে বৈষম্য করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এনটিআরসিএর ১৮তম নিয়োগে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন, এই সমস্যা মাদরাসা অধিদফতরের কাজ। তাদের কাছে পাঠানো আমাদের দাবি-দাওয়া না মেনে নিয়ে উল্টো আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে যখন বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হয়েছে, সেখানে একটা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

মানববন্ধনে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, বিগত প্রথম থেকে সপ্তদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২০ সাল পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় সহকারী মৌলভী ও প্রভাষক পদে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ পেতেন এবং অনেকেই মাদরাসায় সহকারী মৌলভী ও প্রভাষক পদে চাকরিরত আছেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরু থেকে ওই পদসমূহে এমপিও নীতিমালায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১ম গণবিজ্ঞপ্তি- ২০১৬ খ্রি., ২য় গণবিজ্ঞপ্তি-২০১৮ খ্রি. ও ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি- ২০২১ খ্রি. উক্ত পদসমূহে আবেদনের সুযোগ ছিল।

কিন্তু ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বরে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের নীতিমালা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি- ২০২২ তে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ হতে উত্তীর্ণদের প্রাথমিক সুপারিশ করা হলেও চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করা হয়নি।