একাধিকবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন সাকিব

একাধিকবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন সাকিব

সংগৃহীত

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আর সবার আগে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন তিনি।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় আসেন সাকিব। তিনি নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেই একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদিও দুপুরে জেলার দলীয় কার্যালয়ে সবাইকে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। তবে বুধবার বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামের একটি মঞ্চে মাগুরাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এক নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। সেখানে তিনি নৌকার জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা অনুসারে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করা যাবে না। তবে বুধবার দুপুরে বিশাল গাড়ির বহর নিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে মাগুরায় আসেন সাকিব আল হাসান। মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকে মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্ত গড়াই সেতু এলাকায় অবস্থান নেন হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থক। কামারখালীর গড়াই সেতু থেকে মাগুরা শহরে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সাকিবের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ সময় তাঁর গাড়িবহরে কয়েক শ মোটরসাইকেল ও চার চাকার গাড়ি দেখা যায়।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ হায়দার বলেন, সাকিব যেহেতু একজন সেলিব্রেটি, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, এখানে তার ভক্তরা জড়ো হয়েছেন। এখানে রাজনৈতিকভাবে কেউ জড়ো হননি। এখানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ কারণে আমার মনে হয়, আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।

এ বিষয়ে জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। তিনি বলেন, অনেক সময় অনেকে অতি-উৎসাহী হয়ে অনেক কিছু করে ফেলেন। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন সংযত থাকেন। পোস্টার লাগানো, লিফলেট লাগানো, মাইক বাজানো সবকিছুই যেন করা হয়, এই ভেবে যে মানুষের কষ্ট যেন না হয়। এ সময় সাকিব সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের দল, আমাদেরই প্রবলেম (সমস্যা) হবে, যদি আচরণবিধি আমরা মেনে না চলি।

মাগুরার জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, এমন কোনো খবর পাইনি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।